নূতন প্রজন্মের ব্যাপারে শঙ্কিত না হয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করুন : মাহফুজ আলম

মাহফুজ আলম
  © সংগৃৃহীত

গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে একটি প্রজন্মগত রূপান্তর ঘটে গেছে। যে ভাষা বা চিহ্নব্যবস্থার জোরে আন্দোলনের অভিমুখ নির্ধারিত হয়েছে, তা এ প্রজন্মের। ফলে, পুরাতন ভাবাদর্শিক প্রবণতা ও ভাষা অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। নূতন ভাষা, চিহ্নব্যবস্থা, সর্বোপরি আকাঙ্ক্ষা এ প্রজন্মকে নেতৃত্বের জায়গাতে নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসব বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।

তিনি আরও লেখেন, ‘স্বত:স্ফূর্ত আন্দোলন আসলে আধা আন্দোলন, কিন্তু রাজনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুসরণে যে গণ-আন্দোলন, তাই হবে পূর্ণাঙ্গ আন্দোলন। সে আন্দোলন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর শক্তিমত্তা পুন:নির্মাণ করবে। এ প্রজন্মের হাত থেকে গণ আন্দোলন বেহাত করার সকল নজির উপস্থিত। সচেতন না থাকলে শহিদদের রক্ত বৃথা যাবে।

রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ ফ্যাসিবাদের বিলোপ করতে হলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। এক্ষেত্রে ছাত্র-তরুণরাই নেতৃত্ব দিবে। যারা এদের নেতৃত্ব মানতে চান না, তারা উঠেপড়ে লেগেছেন। এ দ্বন্ধ স্বাভাবিক, কিন্তু জয়ী হবে এ প্রজন্মই। এ প্রজন্ম হেরে গেলে দেশ আবার কয়েক দশকের অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে।

জীর্ণ চিন্তা ও রাজনৈতিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য। বিগত প্রজন্মের চিন্তা ও রাজনৈতিক অসততার জোয়াল আর এ প্রজন্ম বইবে না। মনে রাখবেন, প্রোপাগান্ডা করে রাজনৈতিকতা দমানো যায় না, যাবেও না। জনগণের শক্তির সংগঠিত রূপ নিয়ে এত দ্রুত শঙ্কিত হলে হবে না। বুঝুন,  ভাবুন এবং নূতনভাবে ঢেলে সাজান।

পুনশ্চ: আমরা আমাদের পূর্বেকার প্রজন্মকে এলিয়েনেট করছি না। এটা সমীচীন ও নয়৷ বরং তাদের লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা মেনে এ প্রজন্মের অভিজ্ঞতার সাথে তাদের অভিজ্ঞতার মেলবন্ধন কামনা করছি।’