রাজনীতিবিদদের ওপর ছাত্র-জনতার আস্থা নেই: বিএনপি নেতা মঈন খান

বিএনপি
  © ফাইল ছবি

রাজনীতিবিদদের ওপ্র ছাত্র-জনতার আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। জনগণের আস্থার যে সংকট তা কাটিয়ে উঠতে রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জনগণের প্রত্যাশা: অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি আহ্বান জানান।

মঈন খান বলেন, একবার-দুইবার নয়। শেখ হাসিনার মতো একজন দুইবার থাকলেই দেশের ১২টা বেজে যাবে। বর্তমানে রাজনীতিবিদদের ওপর ছাত্র-জনতার আস্থা নেই। আস্থা ফেরাতে রাজনীতিবিদদেরই কাজ করতে হবে বলে মনে করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।
 
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা নিয়েও কথা বলেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র এ নেতার মতে, ‘যৌক্তিক সময় সীমাহীন নয়, এটা সরকারকে মানতে হবে। তা না হলে ছাত্র-জনতার আবারো মাঠে নামতে হতে পারে।’
 
সরকারের সংস্কার কাজ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সব সংস্কার কেউ করতে পারবে না, সংস্কারের জন্য জনগণ এবং সরকারকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আর সরকারকে কোটি কোটি বঞ্চিত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
  
দেশের রাজনৈতিক পরীক্ষায় রাজনীতিবিদদের উত্তীর্ণ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমি নিজেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারিনি্
 
গোলটেবিল আলোচনায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ৭২ সাল থেকেই এ দেশে দুঃশাসনের একটি চক্র চলছে। একটি দল ক্ষমতা থেকে হটে গেলে আরেকটি দল ক্ষমতায় আসবে, এমন ধারণা কোনো দল করলে তাহলে দেশ আবারো সেই চক্রেই পড়বে। যেই ব্যবস্থার মধ্যে শেখ হাসিনার সরকার ছিল, সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।
 
তার মতে, প্রতিবিপ্লবের শঙ্কা এখনো আছে। তাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য পূরণে সরকারকে জাতীয় ঐক্য তৈরির আহ্বান জানান সাকি।
 
প্রশাসনে নৈরাজ্য চলছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এগুলো আর কোনোভাবে দেখতে চাই না।
  
তার মতে, সরকার মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর অর্থ সরকার এতদিন হোমিওপ্যাথি দিয়েছে, এখন সেনাবাহিনীকে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহার করছে। তার মতে, সরকারের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আছে। 
 
আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ তাড়াহুড়োর কোনো নির্বাচন চান না বলে জানান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে।