বিএনপি ক্ষমতায় আসলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে: তারেক
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ PM , আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ PM
সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই বেশ দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বক্তব্যে ও দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন দলটি। যদিও দলের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের সব মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে। আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করবে। এতে দেশের মানুষের উপকার হবে। আর ফ্যামিলি কার্ডটি দেওয়া হবে পরিবারের গৃহিণীর নামে। এ দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। আর নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেও কাজ করবে বিএনপি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করতে হবে। যাতে তারা দ্রুত সংস্কার করে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারে। সেই বিষয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করার আহ্বান জানাই। এ দেশে জনগণের সরকার ক্ষমতায় না এলে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। সাধারণ মানুষ বর্তমানে বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। একমাত্র বিএনপিই সাধারণ মানুষের আশারস্থল। শেখ হাসিনা সরকার শুধু নিজেদের জন্য বিদেশে শত শত বাড়ি করেছেন। নিজে অর্থের মালিক হয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের সব মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে।
জনাব তারেক বলেন, এ দেশে জনগণের সরকার ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব না। সাধারণ জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে। জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে জবাবদিহিতা থাকবে। যারা শহীদ হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন তারা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য গিয়েছেন। তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করতে হবে।
কিশোরগঞ্জ নিয়ে তারেক রহমান বলেন, কিশোরগঞ্জের হাওরের যে বোরো ধান উৎপাদন হয় তা বাংলাদেশের ধান উৎপাদনের ১৬ শতাংশ। সরকার যদি সঠিক ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের সহযোগিতা করে তাহলে ২৫ শতাংশ উৎপাদন সম্ভব। আমরা ক্ষমতায় এলে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এ ধান উৎপাদন আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব। হাওরে অনেক মাছ উৎপাদন হয় কিন্তু রপ্তানি করা হয় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক যদি বাহিরে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় তাহলে মাছ রপ্তানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনা সম্ভব। আরেকটি খাদ্য কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে উৎপাদন হয় সেটা হলো পনির। এই পনির দেশের আর অন্য কোথাও উৎপাদন হয় না। এই পনিরও বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনা সম্ভব।