চট্টগ্রাম কলেজে শিবিরের সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই

চট্টগ্রাম
  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর ওপর দুই দফায় হামলার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনার জন্য শিবিরকে দায়ী করা হলেও শিবির বলছে, সেখানে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। ঘটনার সঙ্গে শিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রথমে ও পরে বেলা ৩টার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে কলেজ শাখা ছাত্রদল। হামলায় আহত পাঁচজন হলেন, আশরাফ হোসাইন, সাইফুল করিম আরিয়ান, শরীফুল ইসলাম আবীর, নাঈম ভূঁইয়া ও শোয়াইবুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে আশরাফ ছাড়া বাকি সবাই চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

ছাত্রদল জানায়, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফ হোসাইন কলেজে গেলে কয়েকজন মিলে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। আশরাফ কলেজ অধ্যক্ষকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানান। অধ্যক্ষ তাঁকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

বেলা ৩টার দিকে আশরাফসহ ছাত্রদলের পাঁচ-ছয়জন নেতা-কর্মী লিখিত অভিযোগ অধ্যক্ষকে দিয়ে ফেরার পথে তাদের ওপর আবার হামলা চালানো হয়। তাতে আশরাফসহ চার-পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাফরাশ নুরী সিজ্জি হামলার জন্য ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন।

তবে শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের নেতারা সংগঠনটির বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামের বাইরে অবস্থান করছি। কিন্তু কয়েকটি সংবাদমাধ্যম আমার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। আমি লাইভে গিয়েও প্রমাণ দিয়েছি যে, আমি ঢাকায় রয়েছি।’

ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। সেখানে কোনো ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। গতকাল চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘটিত কোনো ঘটনার সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবির জড়িত ছিল না। সংঘাতমূলক ঘটনার পর প্রতিবারই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম জড়ানোর একটি প্রক্রিয়া চলছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে জেনেছি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে গিয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছাত্রদলের দাবি, শিবির তাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’