বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
১৬-১৭ বছরে যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা নিজে করেছে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৭ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৭ PM
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রথমবার শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬-১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা ভালো চলে নাই। এ দেশ আওয়ামী লীগ সরকারের ছিল না। মানুষের সরকারও ছিল না। এ দেশ ছিল শেখ হাসিনা সরকারের। এ দেশে যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা নিজে করেছেন। আর ১০ ভাগ অপরাধ যারা করেছেন তাঁরা বাধ্য হয়ে করেছেন।’
আজ মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের করের বেতকায় নিহত সেনা সদস্য তানজিম সারোয়ার নির্জনের বাসায় তাঁর স্বজনদের সঙ্গে সমবেদনা ও সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশটা কেমন যেন হয়ে গেছে। মানবিক মূল্যবোধ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। যে দেশে একজন সেনা কর্মকর্তাকে এভাবে ডাকাতদল হামলা চালিয়ে হত্যা করতে পারে তাহলে বুঝতে হবে সমাজে কিছু নেই, আইন কানুন বলতে কিছু নেই। সেনাবাহিনীর পোশাক পরা এক মানুষের গায়ে দুষ্কৃতকারীরা যখন আঘাত করে পারে তাহলে বুঝতে হবে দেশে আইনশৃঙ্খলা বলে অথবা দেশে শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা এবং দুষ্ট লোকের যে ভয় থাকে তা কিছুই নেই। সমাজটাকে বদলাতে হবে।
বঙ্গবীর বলেন, ‘এই বিপ্লব যদি ব্যর্থ হয় তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অন্ধকার। সেই জন্য বৈষম্যবিরোধী জনতার আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখতে হবে।’
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় অভিযানের সময় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত হন লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি রাজনীতিকে ইবাদতের মতো মনে করি। রাজনীতি করে আমি প্রচুর সম্মান পেয়েছি। প্রচুর অসম্মানিতও হয়েছি। গালাগালিও শুনেছি। এত দিন বেঁচে না থাকলে আমি গালাগালি শুনতাম না। আমি যদি ৭১-এর যুদ্ধ করতে না পারতাম যারা গালাগালি করেন তাঁদের অধিকাংশের জন্ম হয়তো পাকিস্তানের জারজ হিসেবে হতে পারত। আমি আজকে একজন কাতর বাবা-মা-বোন তাঁদের পাশে শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করবার জন্য এসেছি। অন্য কোনো দিন আপনারা আমাকে ধরবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কত দিন থাকবে, কত দিন থাকা দরকার, মানুষের চাহিদা কী? আমি অকপটে বলব, আমি কোনো কথা দ্বিধা করে কথা বলার চেষ্টা করি না।’