রাজবাড়ীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৪ PM , আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৪ PM
রাজবাড়ী পাংশার হাবাসপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাবাসপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, হাবাসপুর গ্রামের শহর আলী প্রামানিকের ছেলে আব্দুল মান্নান প্রামানিক, শামসুদ্দিন শেখের ছেলে দুলাল উদ্দিন শেখ, ময়েজ উদ্দিন শেখের ছেলে নিজাম উদ্দিন, আবুল হোসেন প্রামানিকের ছেলে নজরুল ইসলাম, আব্দুল ওহাবের ছেলে মো. রফিক, আয়েনুদ্দিন শেখের ছেলে হাসেম শেখ, চরপাড়া গ্রামের হালিম খানের ছেলে রবিউল ইসলাম খান, আব্দুল হাই খানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ প্রামানিক ও হাসিদুল ইসলাম।
জানা গেছে, পাংশায় সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি নাসিরুল হক সাবু এবং সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের অনুসারীদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এর জেরে তারা দীর্ঘদিন পৃথকভাবে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। সোমবার সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান প্রামানিক তার লোকজনদের নিয়ে হাবাসপুর বাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিদিনের ন্যায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হাবাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে বাজার এলাকায় পৌঁছায়।
এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে বেশ কয়েকজনকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান প্রামানিক বলেন, তিনিসহ দলের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আব্দুল লতিফ খানের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তিনিসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অপরপক্ষের আহত রবিউল ইসলাম খান বলেন, তারা আব্দুল লতিফ খানের নেতৃত্বে চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে হাবাসপুর বাজারে পৌঁছালে বিএনপির অফিসে থাকা লোকজন বিনা কারণে তাদের ওপর লাঠিসোঁঠা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তিনিসহ তাদের ৫ জন আহত হয়েছেন।
পাংশা মডেল থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।