ব্যানার ছিঁড়ে ফেলায় ছাত্রদলের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

সিলেট
  © সংগৃহীত

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দুটি ফটকে ছাত্রদলের লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত আড়াইটা পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কৃষিগুচ্ছ ভর্তি–ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ব্যানার সাঁটায়। তবে কে বা কারা সেসব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে পাশের নর্দমায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

ব্যানার ছিঁড়ার জেরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকা কিছু শিক্ষার্থীর কথা–কাটাকাটি হয়। ওই সময় সেখানে থাকা বহিরাগত এক ছাত্রদল নেতাও হলে থাকা ওই শিক্ষার্থীদের আক্রোশের শিকার হন। পরে বহিরাগত ওই ছাত্রদল নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বালুচর ও নয়াবাজার এলাকার মানুষ নিয়ে এসে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন।

এরপরই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বাঁশ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে সেনাসদস্যরা এসে রাত দেড়টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সংঘর্ষে মো. আবু সাঈদসহ (রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্রদল নেতাসহ অন্তত ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা আবু সাঈদ জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাইরে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদল ব্যানার সাঁটিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দোসর কিছু শিক্ষার্থী ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দেয়। এটা জিজ্ঞেস করতে গেলে ওই শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর চড়াও হন।

তিনি আরও জানান, ওই সময় সেখানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকার একজন বড় ভাইকেও তারা (শিক্ষার্থীরা) ধাক্কা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। পরে ওই বড় ভাই স্থানীয় লোকজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং সংঘর্ষ হয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যারা ব্যানার ছিঁড়েছে, পদ-পদবি না থাকলেও তারা ছাত্রলীগের সমর্থক বলে তিনি দাবি করেছেন।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যতুটুকু শুনেছি ক্যাম্পাসের দুটি ফটকে ব্যানার লাগায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কে বা কারা সেই ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এ নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’