আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

সমন্বয়ক
  © ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। বুধবার (৬ নভেম্বর) ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার আসামি আমির হোসেন আমু। তাকে আজই আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের সন্ধান পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে তিনি এই অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদক তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত অবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লাইসেন্সকৃত পিস্তল উদ্ধার

আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে দুদকের গোয়েন্দা শাখা। দুদক জানায়, নামে-বেনামে আমুর বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এ পর্যন্ত তার নামে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যা বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তবে প্রকাশ্য অনুসন্ধানে তার অবৈধ সম্পদ অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছে দুদক।

অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রী থাকাকালে আমু তার নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠি-নলছিটিতে স্কুলের অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী ও আয়া নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। ঝালকাঠির এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিতেন তিনি।

প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক জানায়, রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়কের কেয়ারী প্লাজায় আমির হোসেন আমুর দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া মিরপুরের রূপনগরে এক কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার একটি প্লট রয়েছে তার। ঢাকার অদূরে সাভারের বাটপাড়া মৌজায় রয়েছে অকৃষিজমি, যার দাম ৪৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ইস্কাটনে একটি বাগানবাড়ি রয়েছে তার নামে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা ও বিনিয়োগ রয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তার নামে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।