মামলা থেকে নাম বাদ দিতে বিএনপি নেতার ১ লাখ টাকা দাবি

নওগাঁ
  © ফাইল ফটো

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহ-যুব সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক শামসুল আলম খানের কাছে তিনি এই চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ। টাকা দাবি করা কথোপকথনের ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার গোবরচাপা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাতে বিস্ফোরক আইনে বেলাল হোসেন বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, মিঠাপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন, বদলগাছী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, কোলা ইউপির চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলামসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও ১২০ জনকে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রথমে সুমন হোসেন ও নয়ন হোসেন নামের দুটি ফেসবুক আইডি থেকে বেলাল হোসেন ও শামসুল আলমের কথোপকথনের ওই অডিও পোস্ট করা হয়। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কথোপকথনে শোনা যায়- 

সৌখিন: হ্যালো, সালামালেকুম। ভাই আমি সৌখিন, চাংলার সৌখিন

শামসুল: হ্যাঁ ভাই, ভালো

সৌখিন: চিনতে পারছেন

শামসুল : হ্যাঁ ভাই পারছি

সৌখিন: আপনি ওই ম্যানকাক (বিএনপি নেতা মানিক) বলে ২ লাখ টাকা দিছেন

শামসুল : না না না ভাই

সৌখিন: ম্যানকা আপনাক বাঁচাতে পারবে?

শামসুল : বাঁচা-মরা এখন আল্লাহর হাতে

সৌখিন: আল্লার হাতে ঠিক আছে; কিন্তু আল্লাহ যে আমার হাতে লিখে রাখছে আপনাক। তা আপনি ম্যানকার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাঁচতে পারবেন? আমরা কি ... ফেলাব। ভাগ মিলতেছে না। আমার এই নম্বরে বিকাশ, নগদ সব আছে। আপনি ১ লাখ টাকা এখানে পাঠায়ে দেন। তাইলে আপনি ম্যানকাক টাকা দেবেন মানে আমরা কে? টাকা দিতে হবে।

এ বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘বুধবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়। শুনতেছি, মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের কাছ থেকেও এভাবে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।’

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন বলেন, শামসুল চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথাই হয়নি। যেটা ছড়াচ্ছে এটা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমি মামলার বাদী। আমাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ কম্পিউটারে এডিট করে ফেসবুকে ছাড়ছে।