ভারতে ৮ দিনের রিমান্ডে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ PM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ PM
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ সংগঠন) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু। তবে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ধরা পড়েছেন সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে। কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের অনলাইনে এ খবর প্রচার করা হয়।
খবরে বলা হয়েছে, গত ২ নভেম্বর দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের হবিবপুর ব্লকের টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়ার মধ্য দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সীমান্তে বিএসএফ তাকে আটক করে। বাংলাদেশ সীমান্ত টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের মাঝখান দিয়ে উন্মুক্ত সীমান্তপথে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন ফয়সাল। তখন সেখানে টহলরত বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাকে আটক করে।
ওই দিন বিকেলে তাকে হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন বিএসএফ সদস্যরা। পরের দিন পুলিশ তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চায়। বিচারকের নির্দেশে প্রথমে তিনদিন ও পরে বুধবার আরও পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ফয়সাল আহমেদ রুনুকে।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের বরাতে আনন্দবাজারের খবরে আরও বলা হয়েছে, ফয়সালকে জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্ত চলছে। জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফয়সাল ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফয়সাল ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফের কাছে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে তিনি প্রায় দু’মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে যান।
ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায়। তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর সরকার তিনবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৮ সালে নওহাটা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ফয়সাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে জড়িয়ে পড়েন ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতিতে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। দায়িত্বে ছিলেন ২০২৩ পর্যন্ত। গত জুনে তিনি জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পান।
গত ৫ আগস্ট ও তার পূর্ববর্তী সময়ে রুনু ও তার ছাত্র নেতাদের নিয়ে রাজশাহী সাহেব বাজার, পবা ও তালাইমারি এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে। এ সময় বিভিন্ন স্থানে হামলার সময়ও তাকে দেখা গেছে। ৫ আগস্টের পর রুনুর নামে মামলা দায়ের করা হয়। তার নামে দুইটি হত্যা মামলা আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু। শেষমেশ চেষ্টা করেন ভারতে অনুপ্রবেশের। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে।