আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক হাসনাতের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ PM , আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ PM
ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ রাত ৮ টায় রাজু ভাস্কর্যে এ বিক্ষোভ মিছিল হবে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন ইস্যুতে সরব ভারত। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দেশটি একের পর এক বিক্ষোভ করছে। এসব বিক্ষোভের মধ্যে এবার আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশি উপ হাই কমিশনে হামলা চালিয়েছে উগ্র ভারতীয়রা। এ সময় বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা হেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়।
কলকাতা থেকে বিবিসি সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানান, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সভা ছিল আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে।
সভা শেষে সংগঠনের ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল হাইকমিশন কার্যালয়ের ভেতরে যায় স্মারকলিপি জমা দিতে।
এ সময় বাইরে থাকা কিছু হিন্দু যুবক হঠাৎ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিড়ে ফেলে। পরে হাইকমিশন কার্যালয়ের কিছু সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।
এই বিষয়ে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি কার্যকরী সদস্য বিকে রয় জানিয়েছেন, ডেপুটেশন দেয়ার সময় বাইরে কী ঘটনা ঘটেছে তা তারা দেখেননি এবং তারা ডেপুটেশন দিয়ে আসার পরও কাউকে অফিসের ভেতরে দেখতে পাননি।
ঘটনার খবর পেয়ে ত্রিপুরা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অফিসটি ঘুরে দেখেন এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে কথাবার্তা বলেন।
তবে এ বিষয়ে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি।
একই ঘটনায় বিক্ষোভ হয়েছে ভারতের কোচবিহারেও। সেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় সনাতনী হিন্দু মঞ্চ।
সংগঠনটির সদস্যরা পাশের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চ্যাংড়াবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিলও করে। এই কর্মসূচি ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ছিল সীমান্ত এলাকায়।
এদিকে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতের পেট্টাপোল সীমান্তেও। সেখানে সমাবেশ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে।
সমাবেশ থেকে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এটি বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে সীমান্তে দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ দেয়ার ঘোষণাও দেন তারা।