আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্রকে হত্যার হুমকি

ইনকিলাব মঞ্চ
  © ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল চাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে তাকে এ হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসের প্রতিবেদককে এ তথ্য জানান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র।

শরিফ ওসমান হাদি বলেন, গত পরশু (২৬ ডিসেম্বর) ভোর রাতে একটা নাম্বার থেকে ফোন করে আমাকে প্রথম হ'ত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফোন কেটে দেয়ার পর সাথে সাথে আরও চারটা নাম্বার থেকে ফোন করা হয়। এরপর সকাল দশটার দিকে আবারও অন্য এক নাম্বার থেকে ফোন করে হ'ত্যার হুমকি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওইদিনের পর থেকে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত অন্তত দশটি ভিন্ন ভিন্ন নাম্বার থেকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ হত্যার হুমকি দেয়।

তারা আমাকে বলেছে, আমার সার্বক্ষণিক গতিবিধি লক্ষ রাখা হচ্ছে এবং আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না, যোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলেও জানান শরিফ ওসমান।

এর আগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলসহ তিন দফা দাবি আদায়ে সরকারকে ৭ দিনের আলটিমেটাম দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এর মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়া না হলে ২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) সচিবালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সংগঠনটি।

গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কাকরাইল মোড় অবরোধ করে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর কাকরাইল মসজিদ মোড় থেকে অবস্থান তুলে নেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিনিধির কাছে দাবির কাগজ তুলে দেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা।

পরে সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার পাঠানো প্রতিনিধির কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেন, দাবির বিষয়ে প্রধান উদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা বর্তমান সরকারকে ৭ দিন সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের তিন দফা দাবি আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় আমরা সচিবালয় ঘেরাও অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।’

ইনকিলাব মঞ্চের ৩ দফা দাবি হলো- ১. গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগের নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; ২. সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের গুপ্তহত্যা থেকে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটিতে থাকা সব সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে; ৩. প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সব জুলাই যোদ্ধার জীবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ইনকিলাব মঞ্চ একটি অভ্যুত্থান অনুপ্রাণিত সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম। সমস্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণই তাদের লক্ষ্য।