মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়েছেন
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২০ AM , আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২০ AM
উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ছাড়েন। কাতার আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন। বিমানে ওঠার আগে খালেদা জিয়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সবাইকে একত্রিত হতে হবে, এটা বেগম খালেদা জিয়ার বার্তা।" তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়া বিমানবন্দরে বিদায় নেওয়ার সময় দেশবাসীকে দোয়া করতে বলেছেন এবং নিজেও আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছেন, যাতে দেশের মানুষ ভালো থাকে এবং তাদের কল্যাণ হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, "ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় বছর আটক রাখা হয়েছিল।" তিনি আরও বলেন, "খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং আমরা বারবার বলেছিলাম তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হোক।"
মির্জা ফখরুল বলেন, "আল্লাহর অশেষ রহমতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পাঁচ আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলার শিকার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।"
বিমানে ওঠার আগে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, যাদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিম রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পথে পথে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান এবং তাদের হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন শোভা পায়।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তাকে লন্ডনে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে এবং কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেও চিকিৎসা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সাত বছর পর লন্ডনে তার বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হবে। এছাড়া তার ছেলের বউ জুবাইদা রহমান এবং নাতনি জায়মা জারনাজ রহমানও খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।