ভালো হয়ে যেতে বলায় যুবদল নেতাকে হত্যা করল নব্য বিএনপি নেতা

হত্যা
  © সংগৃহীত

সোনা প্রতারণায় জড়িত ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহীন হাওলাদারকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বলেছিলেন একই ওয়ার্ডের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ গাজী। তবে এটাই তার জন্য কাল হলো। তাকে পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যান হামলাকারীরা। এ সময় সুরুজ গাজীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসায় আরেক যুবদল নেতা নয়নকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

গতকাল রবিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে এই তথ্য জানা গেছে।

নিহত সুরুজ গাজী ও তাকে হত্যায় অভিযুক্ত শাহীন হাওলাদার দুজনেই বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা ছিলেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উলফত রানা রুবেল। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল ৩নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক শাহীন হাওলাদারকে সোনা শাহীন নামে এলাকায় চেনে। বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় ১২টিরও বেশি মামলা রয়েছে। শাহীনের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সে নিজেও নব্য বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, নিহত সুরুজ গাজী ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। একই ওয়ার্ডে হওয়ায় কয়েক দিন আগে শাহীনকে সুরুজ সতর্ক করেছিল, দলের বদনাম হয় এমন কোনো কাজ যেন না করে। প্রতারণার যে অভিযোগ সেসব ছেড়ে ভালো কাজের সঙ্গে জড়িত হওয়ার জন্যও বলে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। তারই সূত্র ধরে আজ পরিকল্পিতভাবে শাহীন হাওলাদার তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান, লিয়ন, স্ত্রী শাবানাকে নিয়ে কুপিয়ে সুরুজকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। সুরুজকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছিল আরেক যুবদল নেতা নয়ন। তাকেও কুপিয়ে আহত করেছে। আমি চাই শাহীনসহ এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি দেওয়া হোক। সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।

নিহত সুরুজ গাজীর বোন ফরিদা বেগম বলেন, আমার ভাইকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এলাকায় শাহীন সন্ত্রাসী কাজ, প্রতারণা করতো। তা নিষেধ করায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। অভিযুক্তদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।