পারভেজ হত্যা পূর্বপরিকল্পিত; বৈষম্যবিরোধীর ৫ নেতা জড়িত: ছাত্রদল

ছাত্রদল
  © ফাইল ছবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামক পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ নেতাকর্মী জড়িত বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘পারভেজের ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তুচ্ছ একটি ঘটনার জেরে একজন মেধাবী ছাত্রকে প্রকাশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হত্যা করা হয়েছে।’ 

আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ছাত্রদল সভাপতি অভিযোগ করেন, এই হামলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মেহেরাজ ইসলামের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী জড়িত ছিলেন।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, পারভেজের হামলা পূর্বপরিকল্পিত না হলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কর্তৃক মীমাংসিত বিষয়ে এমন ঘটনার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছি এবং এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কতিপয় রক্ষীবাহিনীর মতো সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব কায়েম করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রদলকে মবের ভয় দেখিয়ে ছাত্রলীগের স্টাইলে মবের পুনরাবৃত্তি করেছে। ক্যাম্পাস ছাড়াও ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যা গণতান্ত্রিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা নতুন নামে সেই পুরাতন ফ্যাসিবাদ।

এ সময় পারভেজ হত্যা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পেজ থেকে দেওয়া পোস্টকে অশোভনীয় উল্লেখ করেন ছাত্রদল সভাপতি। তিনি বলেন, তারা অভিযুক্তদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করতে পারতেন। তা না করে তদন্তের আগেই অভিযুক্তদের পক্ষ নেওয়াটাই প্রমাণ করে তারা অপরাধ আড়াল করাতে বিশ্বাসী। এই সংগঠনের প্রতিটি কমিটিতে যেভাবে সাবেক ছাত্রলীগকে ঠাই দেওয়া হয়েছে মনে হয়েছে, তারা ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন।

ছাত্রদল সভাপতি জানান, এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বনানী থানার পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের চাচাতো ভাই। পাঁচ নেতারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শোভহান নিয়াজ (তুষার), যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির অপর দুই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা আবু জর গিফারি ও মাহাদী হাসান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এসব নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।