সরকারকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে: তারেক
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০১:৫১ PM , আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ০১:৫১ PM

প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। এ লক্ষ্যে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার গণমাধ্যম ও টেলিভিশনে দলীয় অবস্থান তুলে ধরা বুদ্ধিজীবী ও নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ও দলীয় নেতা-নেত্রী টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যারা কথা বলেন, তাদের সঙ্গে বিশেষ এ বৈঠক করেন তারেক রহমান। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পেশাজীবী, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদসহ ৬২ বিশিষ্ট ব্যক্তি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন তারেক রহমান।
বৈঠকে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলতে হবে, সেসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে মূল কথা ছিল, চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা তার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি কালবেলাকে জানান, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, দ্রুত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ক্ষমতায় দেখতে চান। সংস্কার শেষে ডিসেম্বর বা তার আগেই নির্বাচন সম্ভব।’ এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী, লেখক, টকশো ব্যক্তিদের কথা ও যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে দলীয় নির্দেশনা দেন
তারেক রহমান। চলমান অস্থির পরিস্থিতিতে কীভাবে কথা বলতে ও লিখতে হবে, সে বিষয়েও তাগিদ দেন তিনি।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে কয়েকজন টকশো ব্যক্তিত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং কয়েকজন উপদেষ্টার ‘দুর্নীতি’র
ব্যাপক সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। তারা বলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। কোথাও সরকারের কোনো ব্যর্থতা হলে বা অঘটন ঘটলে, সেটি ঢাকতে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাত্র ৯ মাসেই কয়েকজন উপদেষ্টা ও তাদের সুবিধাভোগীরা যেভাবে অর্থ-সম্পদের অধিকারী হয়েছেন, তাতে বোঝা যায় আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের কী অবস্থা হবে। ফলে এ সরকারের প্রতি সমর্থন থাকলেও সরকারকে অতিদ্রুত নির্বাচনমুখী হতে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজনের কথা শুনে বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, সংস্কার শেষে ডিসেম্বর বা তার আগেই নির্বাচন সম্ভব। এ বিষয়ে নানাভাবে যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে হবে। বিশেষ করে সরকারকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।