অধ্যাপক কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ জুন ২০২২, ০৭:১৩ AM , আপডেট: ০২ জুন ২০২২, ০৭:১৩ AM

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে “আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৬০ কোটি টাকায় মনোনয়ন কিনেছেন,” টকশোতে এমন বক্তব্য দেওয়ায় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১ জুন) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করেছেন কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ।
বাদীর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ জুলাই।
মামলার আরেক আসামি হলেন ইউটিউব চ্যানেল “টেবিল টক ইউকের” সঞ্চালক হাসিনা আক্তার।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৩ মে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের সভায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর আসামিরা ইউটিউব চ্যানেল “টেবিল টক ইউকের” মাধ্যমে গত ১৯ এপ্রিল একটি টকশো করেন। ওই টকশোতে আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিষোদগার এবং মিথ্যা বানোয়াট তথ্য তুলে ধরা হয়।
বাদীর অভিযোগ, ওই টকশোতে প্রধান অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নমিনেশন এনসিও করতে ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পরে শুনলাম যে এটা বেড়ে ২০ কোটি টাকায় গেছে। পরে যে হইচইটা হলো এই টাকার পরিমাণটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে নাকি ৬০ কোটি টাকায়।”
এসব বক্তব্য তথ্য প্রমাণহীন, মানহানিকর, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। যা রিফাত ও আওয়ামী লীগের সম্মানহানি করেছে।
“কলিমউল্লাহর ওই মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্যকে সমর্থন করে মামলার দ্বিতীয় অভিযুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. মনিরুল হক চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের সম্মানহানি করেছেন। এছাড়া, মামলার তিন নম্বর অভিযুক্ত হাসিনা আক্তার ওই টকশোতে ‘৬০ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন ক্রয় করেছে গডফাদার রিফাত’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে প্রচার করে একইভাবে সম্মানহানি করেছেন।”
আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করা ওই টকশোর উদ্দেশ্য ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।