শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিবেন, আমরা কি বসে থাকব: পরশ

যুবলীগ
প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে রাখছেন পরশ  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপি এতদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করেছে। আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিবেন, আর আমরা কি বসে থাকব? রবিবার (৫ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরশ বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিবেন আমাদের সামনে, শেখ ফজলুল হক মণির যুবলীগ এখনো বেঁচে আছে। আমরা রাজপথ থেকে জন্মেছি, রাজপথেই আছি, রাজপথেই মরতে জানি। সুতরাং, আন্দোলনের নামে আগুন-সন্ত্রাস করলে জবাব রাজপথেই দেওয়া হবে জানিয়ে দিলাম। 

তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি আপনাদের মত অপশক্তিকে সায়েস্তা করার জন্য। বাংলাদেশে আর কোন ৭৫-এর পুনরাবৃত্তিতো দূরের কথা ঐ চিন্তা মাথায় আনলে মাথা ভেঙে দেয়া হবে। আমরা হুশিয়ার করে দিচ্ছি। 

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের উচিত ছিল জিয়াউর রহমানের খুনের বিচার চাওয়া, তা না চেয়ে আপনারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নারী ও শিশু হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি চাচ্ছেন। এ কেমন মানসিকতা? এ কেমন চরিত্র আপনাদের? খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া কোনোদিন জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার চায় নাই। জিয়াউর রহমানের লাশ এবং সমাধি নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক আছে। এই সকল সন্দেহ একদিন পরিষ্কার হবে। তখন এদেশের মানুষ বুঝবে যে বিএনপি কিভাবে এদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তখন তাদের গাঁট-বস্তা নিয়ে পালানো ছাড়া উপায় থাকবে না। 

যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে পরশ বলেন, আপনারা সংঘবদ্ধ থাকবেন। ওদের দিন শেষ। খুব শিগগিরই ওদের মুখোস উন্মোচিত হবে এবং ওরা জনগণের রোষানল থেকে বাঁচবার জন্য পালাবার চেষ্টা করবে। ওরা যেন কোনোভাবে পালাতে না পারে। ওদের এক শীর্ষ নেতাতো এমনিতেই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। বাকিরা যেন পালাতে না পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। 

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা: বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল কবির, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম মিল্টন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহি উদ্দিন, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শাহীন মালুম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিস মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-অর্থ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. ফিরোজ আল-আমিন, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।