বাংলাদেশের একমাত্র দেশপ্রেমী সরকার আওয়ামী লীগ সরকার: পরশ
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০২২, ০৯:৪৬ PM , আপডেট: ১২ জুন ২০২২, ০৯:৫৭ PM

১১ জুন শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা সেই দিন (১১ জুন) মুক্তি পেয়েছিলেন বলেই আমরা একটা দেশপ্রেমী সরকার পেয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের একমাত্র দেশপ্রেমী সরকার।
আজ রবিবার (১২ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ১১ জুন শেখ হাসিনার কারামুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
একটি সুযোগ সন্ধানী মহল এবং বিএনপি তাদের সংকীর্ণ, আত্মকেন্দ্রিক ও পশ্চাদপদ রাজনীতির কারণে আমাদের দেশপ্রেমী সরকারকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে জানান শেখ পরশ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। সেই থেকেই তিনি আমাদের গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা, মাদার অব হিউম্যানিটি, জননেত্রী শেখ হাসিনা।
পরশ আরও বলেন, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হল বিএনপি, জনগণের অধিকার হরণ করলো বিএনপি আর তথাকথিত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হল ইয়াজ উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই। আর বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয় ৫৮ দিন পর ৩ সেপ্টেম্বর। ৫৮ দিন পর খালেদা জিয়াকে বাধ্য হয়ে গ্রেফতার করেছিল। কারণ শেখ হাসিনাকে মুক্তির দাবিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ একাত্ম হয়ে গিয়েছিল।
১/১১’র ঘটনাকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র অভিহিত করে পরশ জানান, আসলে শেখ হাসিনাকে হটানোর প্রয়াস ছিল সেটা । এক ঢিলে দুই পাখি মারা। খালেদা জিয়াকে হটাবার যথেষ্ট কারণ ছিল। খালেদা জিয়া ও তার পুত্র সে কারণ তৈরী করেছিল তাদের পাঁচ বছরের শাসনামলে। কিন্তু আমাদের নেত্রীকে গ্রেফতারের কোন কারণ বা ক্ষেত্র ছিল না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা হয়েছিল ভিন্ন কারণে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, তিনি একজন দেশপ্রেমী নেত্রী এবং তিনি পশ্চিমা শাসকদের রক্তচক্ষু ভয় করেন না।
শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘মাইনাস টু ফর্মুলা হাজির করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও দেশবাসির আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনা যখন বিদেশে ছিলেন তখনও সংগ্রাম করেছেন। দেশের মধ্যে সেই কৈশোর থেকেই নানা আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে এই দেশের প্রধান নেত্রী হিসেবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আজকেও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন গণতন্ত্রকে নিষ্কণ্টক করতে। স্বাধীনতাবিরোধী সেই একই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহা. বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ