কখনও ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২২, ০৩:১৫ PM , আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২২, ০৩:১৫ PM

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) প্রধান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরি ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বীতাহীন নির্বাচন চায় না। চায় সকল রাজনৈতিক দলের অংশ গ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচন।
তিনি বলেন, আজ থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নির্বাচন কমিশন সংলাপে বসছেন, নির্বাচন কমিশনের এই সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এবং ৩১ জুলাই কমিশনের সাথে আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নিবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের ডাকে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করা সকল রাজনৈতিক দলের দেশপ্রেমের দায়িত্ব, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সরকারের পরিবর্তন চান, তাদেরকেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে প্রত্যেকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিবে, এমন প্রত্যাশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হিসেবে দেখতে চাই।সে কারণে নিবন্ধিত সবার অংশগ্রহণে অবাধ,নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় আরো উন্নতি করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন ব্যবস্থায় ইতিমধ্যে অনেকটা উন্নতি করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থা আরো আধুনিক, মানসম্মত করা হবে। বর্তমান ব্যবস্থাও একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকুলে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, বিরোধীদলের কেউ কেউ বারবার একথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ হয় তাহলে নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হবে, এখানে সরকারের কোন সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে কমিশনকে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সরকারের কোন সংস্থা বা দপ্তর নির্বাচন চলাকালে, সরকারের নির্দেশে চলবে না। চলবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশা করে বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত যে রাজনৈতিক সংলাপের আহবান করেছেন, সেখানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়ে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিআরটিসি লাভের ধারায় ফিরে এসেছে, এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। বিআরটিসি সরকারের যেন বোঝা না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।