দেশবাসীর প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান ওবায়দুল কাদেরের
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৬:৪১ PM , আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৬:৪৯ PM

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী, মিতব্যয়ী ও দায়িত্বশীল হতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এই আহবান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থাকলে কোন সঙ্কটই মোকাবিলা করা কঠিন নয়। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাবো, আসুন সকলেই দায়িত্বশীল হই; সকলেই মিতব্যয়ী এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সঙ্কট একটি বৈশ্বিক সঙ্কট। বাংলাদেশ যাতে এই সঙ্কটের অভিঘাতে জর্জরিত না হয় সে জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার সামনের সঙ্কট মোকাবিলার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদের মনে রাখা উচিত, তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভীত অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাদের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কোনো দিন ৫ বিলিয়নের উপরে ছিল না।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুশাসনের কারণেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাময়িকী ‘নিউজউইক’ যখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে তখন আমাদের দেশের একদল হতাশাবাদী ব্যর্থ রাজনীতিক হায় হায় রব তোলে! তাদের মনে রাখা উচিত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত রাষ্ট্রসমূহ যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক উন্নত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, যারা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন খুলে পাহাড় সমান দুর্নীতি আর লুটপাটে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল। দেশের মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়িত মেগাপ্রকল্পসমূহ তাদের গ্রাত্র দাহের সৃষ্টি করবে সেটাই স্বাভাবিক। বিএনপি এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতিতে কখনোই আস্থা রাখেনি। তাদের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত এক যুগেরও বেশি সময় শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পাহাড় সমান প্রতিবন্ধকতা ও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, শুধু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নয়, আজকে দেশের শতকরা ২৯ ভাগ পরিবারের মানুষ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় কোনো না কোনো ভাতার আওতাভুক্ত হয়েছে। আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সফল রূপকার শেখ হাসিনা। তার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্ব সভায় প্রশংসিত।