আগামী নির্বাচনেও জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবে: আব্দুর রহমান

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনোই অসাংবিধানিক সরকার গঠন হবে না। আর আমরা সেটা মেনেও নেব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সরকার প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

“এই নির্বাচনেও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকেই ভোট দিয়ে ম্যান্ডেট দেবে। শেখ হাসিনা আবারও শপথ নেবেন। আর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করবেন।”

আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বঙ্গবন্ধুর শেষ অটোগ্রাফ সংবলিত স্থিরচিত্রের প্রতিলিপি উপহার দেয়া হয়।

মো: আব্দুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত দিনের পরদিন হরতাল পালন করেছিল, মানুষের গায়ে আগুন লাগিয়ে কয়লা করে দিয়েছিল। তখন তারা বলেছিল, আন্দোলন সফল না হলে ঘরে ফিরবেন না। তবে তাদের আন্দোলনও সফল হয়নি, ব্যর্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। ওদের বলতে চাই, আর আমরা আপনাদের ঘর থেকে বের হতে দেব না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘাতক গোষ্ঠী ভেবেছিল ৭৫-এর ১৫ই আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর নাম হয়ত মুছে ফেলতে পারবে, জয় বাংলার শ্লোগান মুছে ফেলতে পারবে।  আমার কষ্ট হয় তখন, যখন কেউ ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করে, কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করে। 

“জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। তার ছেলে তারেক রহমান এখন লন্ডনে বসে বলে, ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। ঐ পাকনা ছেলেকে নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনা। শুধু বলতে চাই, তোমার বাবার লাশ কিন্তু কেউ খুঁজে পায়নি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ আজেবাজে কথা বললে তাদের ভবিষ্যতও কিন্তু এমনই হবে।”

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ২১ বার হত্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তারপরও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার জন্যই আজ বাংলাদেশে আকাশ চুম্বি উন্নয়ন হয়েছে। 

“পদ্মা সেতু দিয়ে দুইবার গেছি মনে হয়েছে আমি সুইজারল্যান্ড আছি। নিয়ন আলোয় যখন পার হই তখন মনে হয় নতুন এক বাংলাদেশ। এই পদ্মাসেতু শেখ হাসিনা আমাদের দিয়েছেন। এই সেতু আমাদের দক্ষিণের চেহারা পাল্টে দিয়েছে।” 

অনুষ্ঠানে আগত প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা।

ফরিদপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সভাপতি শিহাবুল আলম রেজওয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাভানা গ্রুপের ম্যানেজার কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মামুনুর রহমান, বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোয়েব-উর-রহমান।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুল আলম, ইজ ফ্লাই এক্সপ্রেস লিমিডিটের হেড অব অপারেশনস খন্দকার পারভেজুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য এনায়েত হোসেন রেজা।

আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক, ঢাবির স্যার এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ সোয়েব-উর-রহমান বলেন, বাংলাদেশে এখনো যেসব পর্যায়ে কাজ করতে যাই সেখানেই দেখি এই চিন্তা বঙ্গবন্ধু ৭৫-এর আগেই করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মত ভিশনারি লিডার অতুলনীয়। তাঁর সময়কার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সেই অবস্থার কাছাকাছি যেতে আমাদের ৪০ বছর সময় লেগেছে।