মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন নারায়ণগঞ্জে নিহত সেই যুবদলকর্মী

মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন নারায়ণগঞ্জে নিহত সেই যুবদলকর্মী
  © সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদল কর্মী শাওন প্রধান নিহত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, ডোরাকাটা সাদা রঙের টি-শার্ট ও কালো জিনস পরিহিত শাওন যুবদলের মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় শাওন নামে যুবদলের ওই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পরে শাওনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, নিহত শাওন প্রধানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর এলাকায়। তিনি সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী ছিলেন। এছাড়া ফতুল্লার এনায়েতনগর এলাকায় একটি কারখানায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

তবে সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, শাওন এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা। তিনি পথচারী ছিলেন কিনা সেটি তদন্তাধীন। যে ছেলেটি মারা গেছে, সে একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাতিজা। নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী, না পথচারী সেটি এখনও তদন্তাধীন। আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।

৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি শোভাযাত্রা বের করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সাংবাদিক-পুলিশ ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।

বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত শোভাযাত্রায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় যুবদল নেতাদের সঙ্গে নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় গিয়েছিলেন শাওন। এরপর পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তবে তিনি কার গুলিতে নিহত হয়েছেন, তা জানা যায়নি।

শহরের গুলশান সিনেমা হলের সামনে শাওন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাওনের লাশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আসা যুবদলের দুজন কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন বলেন, ডিআইটি আলী আহাম্মদ চুনকানগর মিলনায়তনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে আমরা ২ নম্বর রেলগেটের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় সংঘর্ষ শুরু হলে আমরা গুলশান সিনেমা হলের সামনে অবস্থান নেই। সেখানেই একটি গুলি এসে শাওনের বুকের বাঁ পাশে লাগে। শাওন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্য নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। পরে তাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শাওন মারা যায়। তার শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ