রেলস্টেশনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২২, ০৩:১২ PM , আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২২, ০৪:০৭ PM

খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় রেলস্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বেলা ১২টার দিকে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বাধা দিতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সশস্ত্র মহড়া দিতে দেখা গেছে। বাধা দেয়া হচ্ছে সমাবেশে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের। এসময় অনেককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ বিএনপির।
খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় গণসমাবেশ হচ্ছে নগরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে। সকাল থেকে পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করেছে।
খুলনা নগরের খালিশপুরের বৈকালী বাজার এলাকা থেকে দৌলতপুরের নতুন রাস্তা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক নিজেদের দখলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে ওই সড়কে সশস্ত্র মহড়া দিতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে রেলস্টেশন চত্বরে ভিড় করেছিলেন বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং স্টেশনের বিভিন্ন জানালা-দরজার কাঁচ ভেঙে ফেলেন। প্রায় আধঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার দাবি করেন, নিজেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষে জড়ান আগত ব্যক্তিরা। একপর্যায়ে তাঁরা স্টেশনের গ্লাস ভাঙচুর করেন। পুলিশকে খবর দিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বেলা দেড়টার দিকে রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক পুলিশ স্টেশনে অবস্থান নিয়েছে। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অনেক মানুষ অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত। রেল কর্মচারীরা ভেঙে যাওয়া কাচ পরিষ্কার করছেন।
কেএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার সোনালী সেন বলেন, সমাবেশে আসতে কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
খুলনা নগরের খালিশপুরের বৈকালী বাজার এলাকা থেকে দৌলতপুরের নতুন রাস্তা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক নিজেদের দখলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে ওই সড়কে সশস্ত্র মহড়া দিতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের। বেলা একটার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বৈকালী বাজারে থাকা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বসে আছেন নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে কোনো যানবাহন ঢুকতে ও বের হতে পারছে না। সেখানে গেলেই মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে।
নিউমার্কেট এলাকায় যুবলীগের একদল কর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তাঁরা মাঝেমধ্যে যশোর রোডে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দেখলে ধাওয়া দিচ্ছেন। এ ছাড়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিল দেখা গেছে।