বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণের কারণে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছেঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজনীতি
বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণের কারণে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছেঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  © টিবিএম ফটো

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে ফলো করছেন বলেই তাকে আজকে অনেক কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু যেসব  বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন কিন্তু করে যেতে পারেন নি, তিনি সেগুলো একে একে সম্পন্ন করছেন বলেই আজকে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছে। 

সোমবার(৭ নভেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে 'মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস' উপলক্ষে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ একটি ধ্বংসস্তুপ ছিল। ব্রিজ ছিল না, খাবার ছিল না, কাপড় ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের পর কাপড়ের জন্য আমাদের লাইন ধরতে হতো৷ বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে ধরে দাড় করিয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি খালেদ মোশাররফের অধীনে ২ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলাম৷ তিনি একজন বীরপুরুষ ছিলেন। তাকে অল্পের জন্যও চিন্তিত, মনোবল হারাতে দেখি নি৷ একাত্তরের যুদ্ধ তার প্রাণ কেড়ে নিতে পারে নি, প্রাণ কেড়েছিল ঘাতকরা৷ 

 তিনি আরো বলেন,আমরা অনেক হত্যাকান্ড দেখেছি সেখানে যে দায়ী তাকেই শুধু হত্যা করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বেলায় তার সহধর্মিণী সহ সপরিবারে হত্যা করা হয়৷  তিনি আমাদের ১১ দফা আন্দোলনের সময় প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করতেন উৎসাহ দিতেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিশ্বাস ছিল, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত হবে সেই ঘুরে দাড়াবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে ঘুরে দাড় করিয়েছেন, আজকের বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তাকেও ১৯-২০ বার হত্যা চেষ্টা হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জিয়াউর রহমানকে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা বলেন৷ তিনি বরং আমাদের ভিতর অনুপ্রবেশকারী ছিলেন৷ জিয়াউর রহমানকে সীমান্তে কোন সম্মুখ যুদ্ধে পাওয়া যায় নি৷ তার অনুপ্রবেশ একটি দীর্ঘমেয়াদী সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের ফল। যে দল গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রের নামে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ চালায়, ধর্মের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, অগ্নিসন্ত্রার করে,সে দলের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। এদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। 

আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। 

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: আমিনুল ইসলাম,মেজর জেনারেল (অব:) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, এবং সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকান্ড নিয়ে গবেষক আনোয়ার কবির প্রমুখ।