বিএনপির ঢাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছেঃ ফখরুল

রাজনীতি
বিএন‌পি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  © ফাইল ফটো

আগামী ১০ ডি‌সেম্ব‌রে ঢাকায় আ‌য়ো‌জিত বিএনপির সমাবেশেকে কেন্দ্র করে রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএন‌পি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তি‌নি দা‌বি ক‌রেছেন, বিএনপির সমাবেশে যেন লোকসমাগম কম হয়, তার জন্য সরকার ইতোমধ্যে সারা দেশে নেতাকর্মী‌দের বিরু‌দ্ধে মিথ্যা ও গা‌য়েবী মামলা দেওয়া শুরু করেছে। বিনা কারণে রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

সোমবার (২১ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

২২ আগস্ট থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ৯৬টি মামলা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব মামলায় ৪৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ৪ হাজার ৪১২ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। ১০ হাজার ৬৬৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

ফখরুল ব‌লেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার কৌশল হিসেবে ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর উত্তরে পাঁচটি মামলা এবং ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। দক্ষিণে নেতা নবীউল্লাহ নবীসহ ২৪৫ জনের নামে ১০টি মামলা করা হয়েছে। ঢাকা জেলার সাভারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুসহ ৩২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগে যেসব জায়গায় বিএন‌পির সমাবেশ হয়েছে সেখানেও মামলা করছে। এখন যেখানে সমাবেশ বাকি রয়েছে সেই বিভাগীয় শহরগুলোতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। 

মির্জা ফখরুল দা‌বি ক‌রেন, সরকার বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গেছে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে গোটা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। জনগণ যখন তাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে শুরু করেছে, তখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আবারও পুরোনো কায়দায় হয়রানি ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭টি বিভাগীয় সমাবেশ সরকারের সব রকম বাধা-বিপত্তি, গ্রেপ্তার, হামলার মধ্য দিয়েও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এসব সমাবেশ শুধু জনসমাবেশ হয়নি, জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মীরা দুই থেকে তিন দিন আগেই সমাবেশস্থলে এসেছে এবং মাঠে, ফুটপাতে থেকে সমাবেশ সফল করেছে।