আপনারা ঢাকা দখল করবেন আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো?

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা বার-বার বলছেন- ঢাকা দখল করবেন। আপনারা ঢাকা দখল করবেন আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো নাকি?

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কাদের বলেন, বিএনপি বলে হাসিনা পালিয়ে যাবে। তার মন্ত্রীরা পালিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ ভয় পায়না। সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের আনছেন। এখনই শুনলাম  বিএনপি নেতাকর্মী হাড়ি পাতিল, লেপ কাঁথা, মশারি নিয়ে এসেছেন। আমরা তো সোহরাওয়ার্দীতে আপনাদের জায়গা দিয়েছি। ছাত্রলীগের কেউ আপনাদের কাছে যাবে না। তাও এতো ভয় কিসের?  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে। এসময় তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। আপনারা তো ভোট পান না। ছোট ছোট দলকে জোড়াতালি লাগান যেন মশারির মধ্যে আরেক মশারি। গণফোরাম ভাঙলো। আপনারা  ঐক্যফ্রন্ট করলেন, কিন্তু লাভ হলো না। ফখরুলের অন্তরে জ্বালা, ভীষণ জ্বালা। পদ্মাসেতু হয়ে গেলো, রূপপুর, মাতারবাড়ী হয়ে গেলো অন্তর জ্বালা হচ্ছে এজন্য। 

বিএনপিতে গণতান্ত্রিক চর্চা হয় না মর্মে তিনি বলেন, বিএনপির নিজের ঘরে গণতন্ত্র নাই, তারা কিভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? বিএনপির সম্মেলন যে শেষবার কবে হয়েছে, ফখরুলও হয়তো তা জানেন না। এদিকে আমরা তিন বছর যেতে না যেতেই সম্মেলন করছি। একটু আগে ময়মনসিংহের সম্মেলনে ছিলাম, একটু পর চট্টগ্রাম যাবো। চট্টগ্রামের জনসভায় দেখবেন জনসমাগম কাকে বলে। 

সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এসময় আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবীদের অভয়ারণ্য। মেধাবীদের নিয়েই ছাত্রলীগ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির ছাত্র সংগঠনের মূল কাজ ছিলো চাঁদাবাজি দুর্নীতি করা। জিয়াউর রহমান এসেই প্রথম বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশন জট নাই। অথচ কয়েকবছর  আগে ১০-১২ বছরেও পড়াশোনা শেষ হতো না। এই যে সেশন জট কমা, এটার পুরো কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। যার সরকার ইতোমধ্যে ছাত্রবান্ধব সরকার হিসেবে বহির্বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। 

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। বিকেল সাড়ে তিনটায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।