যানবাহনে যেসব দোয়া পড়বেন

দোয়া
  © ফাইল ছবি

ভ্রমণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর বর্তমান সময়ে ভ্রমণের প্রধান বাহন হলো যানবাহন। চলতে-ফিরতে মানুষকে বিভিন্ন বাহনে চড়তে হয়। আধুনিক যুগে যানবাহনে বেশির ভাগ যাতায়াত হলেও আগের যুগে হেঁটে বা জীবজন্তুর পিঠে বা নৌকায় চড়ে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেত। এখানে বাহনে চড়ার সময় রাসূল সা. এর কয়েকটি দোয়া তুলে ধরা হলো।

বাহনে চড়ার পর মহানবী (সা.) একটি দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন কালিবুন।

অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও অশেষ করুণাময়। তিনি পূতপবিত্র ওই সত্তা যিনি বাহনকে আমার অধীন করে দিয়েছেন। আমাদের কাছে তাকে আয়ত্তে আনার ক্ষমতা ছিল না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনকলিবুন

অর্থ : মহান আল্লাহর পবিত্রতা যিনি একে (বাহন) আমাদের অধীন করে দিয়েছেন, অথচ আমরা একে অধীন করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা আমাদের প্রতিপালকের কাছে প্রত্যাবর্তনকারী।

উপকার : আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সফরের উদ্দেশে বের হয়ে সওয়ারির ওপর পা রেখে তিনবার তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলতেন। তারপর এই দোয়া পড়তেন।

নৌকা বা জাহাজে ভ্রমণের সময় নবী (সা.) এই দোয়াটি পড়তেন, ‘বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসা-হা, ইন্না রাব্বি লাগাফুরুর রহিম। অর্থ: আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমাপরায়ন, মেহেরবান। (সুরা হুদ: ৪১)

যাতায়াতের বিরতিতে মহানবী (সা.) আরেকটি দোয়া পড়ার কথা শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই দোয়া পড়লে, ঘরে ফেরা পর্যন্ত কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। 

দোয়াটি হলো- আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।’ (মুসলিম: ২৭০৮)। অর্থ: আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমার মাধ্যমে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা চাচ্ছি।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ