পশুর যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না

কোরবানি
  © ফাইল ছবি

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। আর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে কোরবানির পশু কেনা শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কারণ ইসলামে প্রত্যেক সমর্থবান মুসলমানের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। একজন সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ১০ জিলহজ কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই।

হাদিসে এসেছে, মাহনাফ ইবন সুলায়মান (রা.) থেকে বর্ণিত, আমরা রাসুলের (সা.) সঙ্গে আরাফায় অবস্থান করছিলাম। তখন তিনি বলেন, হে লোক সকল! আমাদের প্রত্যেক গৃহবাসীর ওপর প্রতি বছর কোরবানি করা ওয়াজিব। (আবু দাউদ, ২৭৭৯)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর কাবার জন্য উৎসর্গীকৃত উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন করেছি। এতে তোমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে বাধা অবস্থায় তাদের জবাই করার সময় তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। এরপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায়, তখন তা থেকে তোমরা আহার করো এবং আহার করাও; যে কিছু চায় না তাকে এবং যে চায় তাকেও। এমনিভাবে আমি এগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার। (সুরা হজ : আয়াত ৩৬)

১০ জিলহজ ঈদের নামাজের পর কোরবানি করতে হয়। বারাআ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘আমি রাসুলকে (সা.) খুতবা ‍দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমাদের আজকের এ দিনে (ঈদুল আজহা) আমরা যে কাজ প্রথম শুরু করব, তা হলো সালাত (নামাজ) আদায় করা। এরপর ফিরে আসব এবং কোরবানি করব। তাই যে এভাবে করে সে আমাদের রীতিনীতি সঠিকভাবে পালন করল।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯০৩)

পশুর যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না

১. খোঁড়া পশু

২. কানা পশু

৩. রুগ্ন পশু

৪. ক্ষীণ পশু, যার হাড্ডির মগজ পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে

পশুর এমন ত্রুটি থাকলে তা দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, বারা ইবনু আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- খোঁড়া পশু যার খোঁড়া হওয়া স্পষ্ট, কানা পশু যার অন্ধত্ব স্পষ্ট, রুগ্ন পশু যার রোগ স্পষ্ট, ক্ষীণ পশু যার হাড্ডির মগজ পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে- এমন পশুর কোরবানি হবে না। (তিরমিজি, হাদিস: ১৫০৩, মেশকাত, হাদিস: ১৪৬৫)


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ