হেরে গেলেন বদনা শাহ

কুমিল্লা
  © সংগৃহীত

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বদনা শাহ'র সাথে কওমি আলেমদের বাহাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে উপজেলা মিনি হলরুমে এই বাহাস অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, উপজেলার দোলখাঁড় ইউপির দোলখাঁড় গ্রামের একটি মসজিদে চট্টগ্রামের মনিরিয়া দরবার শরীফ ওপরে বদনা শাহ'র মাজারের অনুসরণে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের দাবি মসজিদে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে আজান ও নামাজ নাজায়েজ ও হারাম। এবং যারা মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে আজান ও নামাজ পড়বে তাদের ঈমান চলে যাবে (কাফের হয়ে যাবে) এমন বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে একটি মহল।

কওমি আলেম মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়জী, মুফতি সামছুল ইসলাম জিলানী ও মুফতি আমজাদ হোসেন বলেন, বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করছে একটি মহল। বিষয়টি সমাধানের লক্ষে নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে উপজেলা মিনি হলরুমে বাহাস অনুষ্ঠিত হয়। বাহাস শেষে বিতর্কিত বক্তারা (বদনা শাহ'র অনুসারীরা) তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করার মুচলেকা দেন।

বদনা শাহ'র অনুসারীদের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান বলেন, ধর্মীয় একটি বিষয় নিয়ে তাদের ঝামেলা চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার,ও থানারওসি, সেনাকর্মকর্তাসহ অনেকের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। তারা কেও কাওকে আক্রমনাত্মক কথা বলবে না জানিয়ে মুচলেকা দেন।