রোযার উপকারিতা

রোজা রাখার বিস্ময়কর ৬টি স্বাস্হ্য উপকারিতা

রোজা রাখার বিস্ময়কর ৬টি স্বাস্হ্য উপকারিতা
পবিত্র মাহে রমজানে রোযার উপকারিতা  © সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্বের পাশাপাশি অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে শরীরকে খাবার থেকে বিরতি দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই খাদ্য বিরতিতে রোযা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই পবিত্র মাসে রোজা রাখলে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উভয় অর্জন করা যায়। চলুন তবে জেনে নেই রোজা রাখার ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

পুষ্টিবিদদের মতে, রোজা অন্ত্রের আস্তরণকে শক্তিশালী করে। এটি অটোফ্যাজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকারক এবং ক্ষতিগ্রস্ত উপাদান থেকে কোষকে পরিষ্কার করে। রোজা রাখার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের উৎপাদন হ্রাস করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা অসুস্থতা এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

২. মানসিক স্বাস্হ্য উন্নত হয়

রোযা মানে শুধু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা নয়। আঁচার আচরনের পরিশুদ্ধিতে  রোযার ভূমিকা অনেক । যা কিছু জীবনের জন্য হানিকর  তাতে রোযার মাধ্যমে মানুষকে সংযত হতে সাহায্য করে। আত্ননিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আত্নশুদ্ধি অতঃপর মানুষ মানসিক সুস্হতা ফিরে পায়। ইবাদতে প্রশান্তি পেলে মন ও শরীর দুটোই সুস্হতা লাভ করে।

৩. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে

রোজা রাখার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার মধ্যে একটি হলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উন্নতি। রমজান মাসে মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রপিক ফ্যাক্টর (BDNF) উৎপাদন বেশ বৃদ্ধি পায়। BDNF হলো একটি প্রোটিন যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি এবং বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করে। এটি  স্মৃতিশক্তি, শেখা এবং মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে।

৪. হৃদরোগের জন্য ভালো

রোজা রাখলে তা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, যা প্রদাহ কমাতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে। তবে যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ আছে তাদের রোজা শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

৫. ওজন কমায়

ওজন কমানোর জন্য রোজা একটি দুর্দান্ত উপায়। সাহরি ও ইফতারে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়ে এই মাসে ওজন কমানো সম্ভব হতে পারে। তবে রমজান মাস ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়েও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রলোভন এড়াতে হবে।

৬. ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

রোজা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।গবেষণা অনুসারে, রমজান মাসে রোজা রাখার ইতিবাচক ফলাফল রয়েছে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে।