আলেমদের আর্থিক লেনদেনের অনুসন্ধানে দুদক

দুদক
  © লোগো

গণকমিশনের অভিযোগ আমলে নিয়ে ১১৬ আলেমের সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ–সংক্রান্ত একটি দাপ্তরিক চিঠি মঙ্গলবার তিন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়।দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল এ চিঠি পাঠান।

অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানের জন্য নিযুক্ত অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর।

দুদকের দাপ্তরিক চিঠিতে দেখা যায়, ১২ মে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক (দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলে) পাঠান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

চিঠিতে বলা হয়,  গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট টিমের মাধ্যমে বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা হতে অনুসন্ধানের সদয় অনুমোদন ও অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) বরাবর প্রেরণের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। চিঠির সঙ্গে ২ হাজার ২১৫ পাতার ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’-এর তিন খণ্ড কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্যোগে ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন’ সম্প্রতি ১১৬ আলেম ও ইসলামি বক্তার একটি তালিকা গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেয়। তালিকায় স্থান পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন এবং ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করা ও ধর্মের নামে ব্যবসার অভিযোগ আনে গণকমিশন। তারা ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে।