কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে সতর্ক করলেন চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক 

বুদ্ধিমত্তা
স্যাম অল্টম্যান।   © ফাইল ফটো

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে সতর্ক করেছেন চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক ও ওপেনএআই-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যান। তিনি বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের কাজ কেড়ে নিতে পারে, গুজব ছড়াতে পারে এমনকি নিজের ইচ্ছায় সাইবার আক্রমণ পর্যন্ত করতে পারে। তাই দিনে দিনে এ প্রযুক্তির বিকাশকে ধীর গতির করতে হবে।

শিক্ষাগত এবং পেশাগত বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে সক্ষম চ্যাটজিপিটির এমন ভার্শন জিপিটি-৪ এর যাত্রা ঘোষণা দেয়ার মাত্র দুদিন পর স্যাম অল্টম্যান এসব কথা বললেন। 

শিক্ষাগত জায়গা থেকে জিপিটি-৪ এর দক্ষতা এতটাই ভালো যে, তা অনেক সময় মানুষের চেয়েও ভালো সক্ষমতা দেখাতে পারে। যেমন, চ্যাটজিপিটি-৪ যুক্তরাষ্ট্রের বার পরীক্ষায় সাধারণের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি নম্বর পেয়েছে। এসএটি রিডিং পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ নম্বর তুলেছে এবং এসএটি ম্যাথ পরীক্ষায় নম্বর তুলেছে ৮৯ শতাংশ নম্বর। 

স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ মডেলগুলো বড় ধরণের বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং এখন যেহেতু তারা (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) আরও দক্ষতার সঙ্গে কম্পিউটার কোড লিখতে পারছে তাই সেগুলোকে সাইবার আক্রমণের কাজে ব্যবহার করা হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং, এসব বিষয়ে আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।’  

আরও পড়ুুন: গরমে এসি বিস্ফোরণের কারণ ও সতর্কতা

এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ‘বিপজ্জনক প্রযুক্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন তদারকির জন্য এবং এটি জনস্বার্থে কাজ করছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এক ধরনের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন।’

স্যাম অল্টম্যান নিজের উদ্ভাবিত চ্যাটজিপিটি এখনো মানুষের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি ইলন মাস্কের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, ‘তবে এটি এখনো বিপুল সংখ্যক মানুষের বিদ্যমান চাকরি নাই করে দিতে পারে। তাই এই মুহূর্তে আমাদের এমন একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে যা এই প্রযুক্তির বিকাশকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীর গতির করে দেবে।’ 


মন্তব্য