‘টাইম ১০০ এআই’ তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুম্মান

এআই
‘টাইম ১০০ এআই’ তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুম্মান  © সংগৃৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. রুম্মান চৌধুরীর নাম টাইম ১০০ এআই' তালিকায় স্থান পেয়েছে। তিনি একজন ডেটা সায়েন্টিস্ট এবং সোশ্যাল সায়েন্টিস্ট যিনি অ্যালগরিদমিক নৈতিকতা নিয়ে কাজ করছেন।

নিজের লিঙ্কডইন বায়োতে তিনি লেখেন, 'গত ছয় বছর ধরে আমি নৈতিক, ব্যাখ্যাযোগ্য এবং স্বচ্ছ এআই-এর জন্য অত্যাধুনিক সামাজিক-প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি করছি।' 

তিনি এর আগে টুইটারের মেটা (মেশিন লার্নিং এথিকস, ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকউন্টেবিলিটি) দলের প্রধান ছিলেন। যে দলের কাজ ছিল প্ল্যাটফর্মে অ্যালগরিদমিক হুমকি চিহ্নিত করা এবং ঝুঁকি কমানো।

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে গত আগস্টের শুরুতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিলেন তিনি। এতে প্রায় ৪,০০০ হ্যাকারকে জড়ো করা হয় ওপেনএআই, গুগল এবং অ্যানথ্রপিকের চ্যাটবটগুলোর সিস্টেম ব্রেক করতে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআইকে তাদের নিজস্ব নিয়ম ভঙ্গ করাতে সক্ষম হলে হ্যাকারদেরকে পয়েন্ট দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হ্যাকার বেশ কয়েকটি দুর্বলতা খুঁজে পান। যেমন- একটি চ্যাটবট একটি ক্রেডিড কার্ডের নাম্বার প্রকাশ করে দেয়, যা গোপন রাখার কথা ছিল।

রুম্মান চৌধুরী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিউম্যান ইন্টেলিজেন্সের প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থাটি মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের নির্দেশে তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে এবং পরে সে প্রতিষ্ঠানকে অবগত করে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় রেড টিমিং। এভাবে কম্পিউটার সিস্টেমের ত্রুটি বের করে হ্যাকারদের পুরস্কৃত করা একটি প্রচলিত চর্চা। 

আগস্টে এভাবে হ্যাকারদের জড়ো করার উদ্দেশ্য ছিল এআই সিসেস্ট হ্যাক করাকে আরো কঠিন করে তোলা। এআই-এর ত্রুটি বের করে সেগুলো সংশোধন করা। যাতে জনসাধারণের কাছে প্রকাশের পরে আবিষ্কৃত হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায়। 

২০০৬ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস এবং ২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন রুম্মান চৌধুরী। তিনি এক দশকের বেশি সময় ধরে এই খাতে কাজ করছেন।


মন্তব্য