১০ দিন পর চালু হলো মোবাইল ইন্টারনেট; ধীরগতিতে বিরক্ত ব্যবহারকারীরা

ইন্টারনেট
  © ফাইল ছবি

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতে সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১০ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হলো মোবাইল ইন্টারনেট।

আজ রবিবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টার পর মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমগুলোতে থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু হয়েছে।

ব্যবহারকারীরা জানান, দেশের ৫টি অপারেটর কোম্পানির (বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, গ্রামীণফোন) সব সিম থেকে এখন ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও ফেসবুক, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপসহ সব ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রয়েছে। এদিকে ধীরগতির কারণে ডাটা ব্যবহার করে স্বস্তি পাচ্ছেন না।

মনোয়ার হোসেন নামের এক গ্রামীণ সিম ব্যবহারকারী বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট দিয়ে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যাচ্ছে না, তাহলে এই ডাটা নিয়ে করবোটা কী? 

তিনি আরও বলেন, ৩০ জিবি ডাটা খেয়ে ৫ জিবি ডাটা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে, তাও আবার তিন দিনের জন্য। এই প্রহসনের কোন মানে হয়? এদিকে ইন্টারনেটের গতি অনেক কম থাকায় অন্যান্য সাইটও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

অপর এক ব্যবহারকারী বলেন, টানা ১০ দিন মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় মনে হচ্ছিলো যেনো অন্ধকার যুগে বসবাস করছি।

এর আগে, আজ সকাল ৯টায় মোবাইল ডাটা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ থাকার বিকেল ৩টার পর থেকে মোবাইল ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এই সময়ে যে গ্রাহকেরা মোবাইলে ইন্টারনেটে যুক্ত হবেন তারা তিন দিনের জন্য ৫জিবি বোনাস ডেটা পাবেন।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকেই শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমে থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিসেবা। ফলে আজ প্রায় ১১ দিন ধরে গ্রাহকরা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে কোনো কাজ করতে পারছেন না।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেছিলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতেই সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।  শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব ছড়াচ্ছে। তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি করতে চাচ্ছে। সেজন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এর জন্য পূর্বে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।