ভিপিএন ব্যবহারে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সতর্কবার্তা

কোটা
  © ফাইল ফটো

কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি যে সহিংসতা হয়েছে তার জন্য সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এতে করে ইন্টারনেট নির্ভর সবধরনের সেবাই বন্ধ হয়ে যায়।পরিস্থিতির উন্নতি হলে, গত ২৩ তারিখে সরকার ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তদুপরি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেইসবুক সহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষ্ক্রিয় রাখা হয়।

যতদিন সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে মনে করবেন ততোদিন এগুলো বন্ধই থাকবে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ থাকায় অনেকেই ভিপিএন ব্যবহার করছেন। ভিপিএনের মাধ্যমে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটক চালাচ্ছেন।তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভিপিএন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভিপিএন থেকে বিরত থাকি। তথ্য সুরক্ষার জন্য বিরত থাকি। ভিপিএন যে দিচ্ছে, সে পুরো তথ্য উপাত্ত পাচ্ছে। ভিপিএন চালু রেখে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আর্থিক লেনদেন করলে, গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভিপিএন টুল ডাউনলোড করার সময় মোবাইল বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণসহ ফেসবুক, ইমেইলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ওই ভিপিএন নির্মাতার কাছে। ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা। ভিপিএন ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি ফেসবুক, টিকটক কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। তারা বাংলাদেশের সংবিধান, আইন মানবে কি না এবং নিজেদের যে গাইডলাইন আছে, সেটা ঠিকমতো মেনে চলবে কি না, এসব নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আপাতত ফেসবুক-টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ থাকছে জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তাদের কাছে বিটিআরসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে যে ব্যাখ্যা চেয়েছে, তা স্পষ্ট করে না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধে তাদের কার্যক্রম খুলে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে।