বাংলাদেশ নিয়ে গুজব

পিনাকি, ইলিয়াস, রনিসহ ফেসবুককে ৫০ জনের তালিকা দিয়েছে সরকার

ফেসবুক
  © ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চলমান সহিংসতার মধ্যেই বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ও মিথ্যাচার বন্ধে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কাছে সহায়তা চেয়েছে সরকার। গত বুধবার (৩০ জুলাই) মেটার (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম) সিঙ্গাপুরের এশিয়া সদর দপ্তরের সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্মে এক বৈঠকে এই আহবান জানান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমেরিকা ইউরোপে যে নীতি অবলম্বন করে বাংলাদেশে‌ও যেন এক‌ই নীতি অবলম্বন করে, সেটি তাদের বলা হয়েছে। এক‌ই সাথে পিনাকি, কনক সারোয়ার, ইলিয়াস, গোলাম মাওলা রনিসহ ৫০ জনকে গুজব ও মিথ্যাচারের হোতা হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা ফেসবুককে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিস্থিতির কিছু ভিডিও কন্টেন্টের বিষয়ে কথা বলার জন্য ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ৩১ জুলাই সশরীরে বিটিআরসিতে প্রতিনিধিদের হাজির হতেও বলা হয়েছিল। সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য ফেসবুককে তলব করা হলেও শেষ পর্যন্ত তারা বিটিআরসিতে আসেননি।

পরে অনলাইনেই মেটার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৈঠকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, মিস-ইনফরমেশন, ডিস-ইনফরমেশন জনিত যে কোনো অস্থিরতা নিরসনে ফ্যাক্ট চেকিং জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে অনলাইনে মেটা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন পলক। টিকটক ও ফেসবুক এই বৈঠকে যুক্ত হলেও নতুন সময় নিয়েছে ইউটিউব।

তথ্যসূত্র: একাত্তর টিভি