সীতাকুণ্ডের আগুন নেভাতে প্রথমবারের মতো রোবট ব্যবহার

হাইটেক রোবট
আগুন নেভাতে হাইটেক রোবট  © সংগৃৃহীত

আগুন নেভাতে প্রথমবারের মতো  হাইটেক রোবট ব্যবহার করছে ফা সার্ভিস।  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই রোবট আগুন নেভানো কাজ করব।

ঢাকার একটি বিশেষজ্ঞ দল সোমবার (৬ জুন) সকালে পরীক্ষমূলকভাবে যন্ত্রটির ব্যবহার করে। 

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, “প্রথমবারের মতো গত সোমবার সীতাকুণ্ডের আগুন নেভাতে একটি অটোমেটিক হাইটেক রোবট ব্যবহার করেছি আমরা। আমাদের দুটি রোবট রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ড্রোনও রয়েছে। আমাদের কাছে থাকা অটোমেটিক মেশিন ৩০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পানি ছিটাতে সক্ষম।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে ,  “এলইউএফ ৬০” নামক অগ্নিনির্বাপক রোবটটি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয় মূলত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। অগ্নিনির্বাপক যানটিকে  দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 

নির্মাণকারী অস্ট্রিয়ান প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট অনুসারে,  ধোঁয়া, তাপ, এবং বিষাক্ত গ্যাস নিষ্কাশন করতে এবং আগুনের তীব্রতা কমিয়ে স্বাভাবিক বায়ুচলাচল নিশ্চিতে কাজ করে এটি। এছাড়াও ৩০০ মিটার পর্যন্ত স্প্রে করতে সক্ষম এই অগ্নিনির্বাপক যানটি। এর মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ২৪০০ লিটার পানি স্প্রে করা সম্ভব।

ট্যাঙ্ক সদৃশ-চেইন-চাকার সাহায্যে “এলইউএফ ৬০” রোবটটিকে ৩০ ডিগ্রি খাড়া সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠানো যায়। এটিতে থাকা থার্মাল ইমেজারের মাধ্যমে দমকলকর্মীরা আরও ভালভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, প্রথমবার   ২০১৭ সালে এই রোবট কেনার পরিকল্পনা করেছিল সংস্থাটি। এরপর কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৯ সালে । কিন্তু  করোনা মহামরির কারণে দেরী হয়। বর্তমানে দেশে দুটি এলইউএফ-৬০ (খটঋ ৬০) রোবট রয়েছে।