টিকটক করতে গিয়ে চলতি বছর ১০ জন মারা গেছেন

মৃত্যু
টিকটক  © লোগো

চলতি বছর টিকটক তৈরি করতে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, কয়েক বছর ধরে টিকটক’র অপব্যবহার এতটা বেড়েছে, যা বর্তমান প্রজন্মের তরুণ তরুণীদের মাঝে মৃত্যুফাঁদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

একইসঙ্গে সংগঠনটি টিকটকের ‘ব্ল্যাক-আউট চ্যালেঞ্জ’-এর প্ররোচনায় টিকটক তৈরি করতে গিয়ে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা মৃত্যুর মুখে পড়ছে কিনা তাও তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্ল্যাক-আউট চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এমন ধরনের অপশন, যেখানে তরুণ-তরুণীকে তার বেল্ট, অথবা অন্য কোনও মাধ্যম ব্যবহার করে ফাঁসিতে ঝুলতে বা আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলাম টিকটককে নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহির মধ্যে আনার। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই টিকটককে জবাবদিহির আওতায় ও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। টিকটক প্ল্যাটফর্মে ব্ল্যাক-আউট চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে বিভিন্ন দেশেও প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রিয়ায় ব্ল্যাক-আউট চ্যালেঞ্জ’র কারণে তরুণদের মৃত্যু হয়েছে বলে অনেক তরুণ-তরুণী ও অভিভাবক টিকটকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

জানা যায়, গত ৮ জুলাই নোয়াখালীর চাটখিলে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় অসাবধানতাবশত পা পিছলে গেলে সানজিদা আক্তার নামে ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। গত ১১ জুলাই কুমিল্লায় চলন্ত ট্রেনের ছাদে টিকটক ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে পা পিছলে মেহেদী হাসান নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেল চালিয়ে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে এ বছরের ৫ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার মেয়রের ছেলে। টিকটক হ্যাংআউটে যোগাযোগ, তারপর ভারতে তরুণী পাচারের মতো ঘটনাও ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণের। গত ২২ মে নীলফামারীর সৈয়দপুরে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে খরখরিয়া নদীতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। নাটোরের চন্দ্রকোলা এস আই উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকটক করার অভিযোগে তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধরনের অসংখ্য দুর্ঘটনা রয়েছে টিকটক ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে।