ডাকাতের অভয়ারণ্য কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল-ছনখোলা সড়ক

সড়কে ডাকাতি
খুরুশকুল-ছনখোলা সড়ক  © টিবিএম ফটো

ডাকাতের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার শহরতলীর খুরুশকুল-ছনখোলা সড়ক। দিনে যেমন তেমন সন্ধা ঘনিয়ে আসলেই নেমে পড়ে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী ও ডাকাত দল। প্রতি মাসে এ সড়কে ছোট-বড়ো ৮/১০ ডাকাতি সংঘটিত হয়।

গত এক বছরের এ সড়কে যাতায়াতে ডাকাত দলের কবলে পড়ে বহু মানুষ হতাহত ও সর্বশান্ত হয়েছে। বর্তমানে ডাকাত দলরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত দশটার দিকে খুরুশকুল কুলিয়াপাড়া- ছনখোলার রাস্তায় ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

ডাকাতির শিকার হওয়া স্হায়ী সাবেক ইউপি সদস্য সোলতান, রাকিব উল্লাহ, মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ, ড্রাইভার সাবধান হোছেন জানান, ‘প্রতিদিনের ন্যায় সিএনজি যোগে রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের সিএনজি গতিরোধ করে ১০-১২জন অস্ত্রধারী ডাকাত ঘিরে রেখে এলোপাথাড়ি মারধর করে। ডাকাতদের সকলের গায়ে কালো জ্যাকেট ও মুখে মুখোশ ছিলো। তারা প্রথমে পরিচয় দেয় তারা পার্টির লোক। এ সময় যাত্রীরা  চিৎকার দিলে ডাকাতরা তাকে বেধড়ক মারধর করে, ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা, ৬টি অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন  মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়'।

একরাম-উল হুদা ও বশির আহম্মেদসহ স্থানীয় অনেকইর দাবি, পুলিশের নজরদারি না থাকায় প্রতিমাসে এ সড়কে ডাকাতি হয়। শুধুমাত্র একটি ঘটনা ঘটলে পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়। পুলিশ যদি খুরুশকুলের ওই এলাকায় চিহ্নিত কিছু মাদকসেবী ও বখাটেদের আইনের আওতায় নিয়ে আসে, তাহলে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বন্ধ হয়ে যাবে। তাঁরা ওই সড়কে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি জানান।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং দমন নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশের একটি নিয়মিত টহল টিম ওই সড়কে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।


মন্তব্য