ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোট, বাংলাদেশ যাবে কোন পথে?
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১১:৪৭ AM , আপডেট: ১০ জুন ২০২৩, ১১:৪৭ AM

পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আর সহযোগিতায় বিশ্ব এখন হয়ে উঠেছে গ্লোবাল ভিলেজ। যেখানে বাড়তি সুবিধা আদায়ে জোটবদ্ধ অনেক দেশ। আঞ্চলিক এই সম্প্রীতির লক্ষ্য কখনও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আবার কখনও রাজনৈতিক মোড়লগিরি। এরই একটি ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন কানেক্টিভিটি।
বৃহত্তম বাণিজ্যিক সঙ্গী হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরু করে ভারত। কৌশলগত নানা পথ মাড়িয়ে এই দ্বিপাক্ষিক জোটের এবারের লক্ষ্য আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি।
এই আঞ্চলিক জোটকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশও হয়ে উঠতে পারে সুবিধাভোগী। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই এটি সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরাসরি কোনো জোটের অংশ না হয়েও বাণিজ্যিক দিক থেকে সম্ভাবনার দুয়ার খোলা বাংলাদেশের। এ জন্য সুদূরপ্রসারী কর্মকৌশল সাজাতে হবে বলে মত ব্যবসায়ী নেতাদের।
আরও পড়ুন: বিশ্বের শীতলতম স্থান সাইবেরিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার বলেন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বৃহৎ বাণিজ্যিক সহযোগী। ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫ বছরমেয়াদি যে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সেখানে বাংলাদেশ চাইলে তার অংশীদার হতে পারে। দেশের পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও ভালো দামে রফতানি সম্ভব।
চলতি মাসের শুরুতে ভারতের মেঘালয়ে ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন কানেক্টিভিটি জোটের দুদিনব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালে এই জোটের হাতে নেয়া কৌশল বাস্তবায়নের পথে 'নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি'তে তুলে ধরা হয় কীভাবে এর সুবিধা পাবে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে খেয়াল রাখতে হবে এক জোটের সুবিধা নিতে গিয়ে যেন নাখোশ না হয় আরেক জোট। অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের কোনো জোটে জড়ানোর কথা নয়। ভারতের পাশাপাশি চীনকেও গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে কোনো কিছু একপাক্ষিক না হয়ে যায়। সবার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে বাণিজ্যকে প্রসারিত করাই মূল লক্ষ্য।
২০১৩ সালে ১৫০টি দেশ ও বহু আন্তর্জাতিক জোটের সমন্বয়ে চীনের নেয়া কৌশল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এগিয়েছে অনেক দূর। বাংলাদেশও বিশ্বকে একসুতায় গাঁথার এই উদ্যোগের অন্যতম সুবিধাভোগী।