কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে বন্যার কবলে ২ লাখ মানুষ: খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

বন্যা
কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যা  © ইউএনবি

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতিতে ২ লাখেরও বেশি বন্যাদুর্গত মানুষ খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে আছেন। ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর থেকে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যাদুর্গতরা।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পানিবন্দি লোকজন গবাদি পশুপাখি নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র, সরকারি রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ২৫টি চর ও নদী তীরবর্তী ৩০টি গ্রাম দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে ১ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

এদিকে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও পাটগ্রাম উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়নে ১৭টি চর ও নদী তীরবর্তী ২২টি গ্রাম তিস্তা ও ধরলা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি রয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ।

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের বন্যাদূর্গতরা বলছেন, আমাদের বন্যার পানির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হচ্ছে। রান্নার অভাবে শুকনা খাবার খাচ্ছি। অনেকে শুকনো খাবারও পাচ্ছে না। এছাড়া অনেকের আশ্রয়কেন্দ্রে গরু-ছাগলের সঙ্গে ঠাসাঠাসি করে থাকতে হচ্ছে।


মন্তব্য