অবসরে গেলে গল্প করব "কক্সবাজার এক্সপ্রেসের প্রথম চালক ছিলাম

মধ্যাহ্নের সূর্য তাপে অপেক্ষার প্রহর। একসময় বেজে উঠে সময়ের হুইসেল। তারপর ছুটে চলে ট্রেন। কেবল ২০টি বগির ১ হাজার ২০ জন মানুষ নয়, যেন ছুটে চলেছে ইতিহাস। ইতিহাসের এই যাত্রার প্রথম চালক লোকোমাস্টার আবদুল আওয়াল রানা।

সন্তান জন্মের পর পিতার যে অনুভূতি ঠিক তেমনই উচ্ছ্বাসেরর কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেনের চালক আব্দুল আওয়াল রানা। ট্রেন ছাড়ার পূর্ব মুহূর্তে তিনি জানান, 'এটি আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

তিনি বলেন, আসলে অনুভূতিটা স্বপ্নের মতো। সকালে একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙলে যেমন সময়টা ভালো যায় আমার কাছে এমনই মনে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে নতুন ট্রেনে, নতুন রেলস্টেশন থেকে নতুন রেললাইন চট্টগ্রাম তারপর সেখান ঢাকা ট্রেন চালিয়ে যাচ্ছি"।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার সারা দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন নগরী। এখান থেকে প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যাবো। আমি আমার যখন চাকরি থেকে অবসর নিবো তখন আমার নাতি-নাতনিরা কক্সবাজার ঘুরতে আসলে বলতে পারবো আমিই প্রথম ট্রেনটা চালিয়েছিলাম।

কক্সবাজারের রেলচলাচলের ইতিহাসে তার নামটি উজ্জল হয়ে থাকবে প্রথম বাণিজ্যিক রেলের চালক হিসেবে এটাই তার জীবনের পরম পাওয়া বলছেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সী আব্দুল আওয়াল রানার বাড়ী ঢাঙ্গাইলের কালিহাতী। তিনি ব্যক্তি জিবনে বিবাহিত এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক।