ফুটপাতে নির্ঘুম রাত ছিন্নমূল মানুষজনের

শীত
  © টিবিএম ফটো

এক প্রতিবন্ধী ব‌্যক্তি ছোট ছোট দুইটি বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমে পড়েছে। তাদের গায়ে একটি মাত্র কম্বল। পাশে আর একজনের ভাগ‌্যে একটি কম্বলও জুটেনি। লুঙ্গি গায়ে দিয়ে ঘুমাতে চেষ্টা করছে। শনিবার রাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এ দৃশ‌্য দেখা যায়।

শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে এ ভাবে রাতযাপন করছেন হাজারো মানুষ। আকাশকে ছাদ বানিয়ে সড়কের আইল্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনে কাঁথা বা চাদর মুড়ি দিয়ে নিশ্চিন্তেই ঘুমাচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষেরা।  

সন্ধ্যা গড়ালেই বাড়ছে কুয়াশা। শীতল হাওয়ায় তেজহীন সূর্য। বিত্তবানদের কাছে উপভোগ্য হলেও গৃহহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে দুর্বিষহ। সারাদিন নানা কাজ শেষে রেলওয়ে স্টেশন, খোলা মাঠ, বাসা-বাড়ি ও অফিস-আদালতের বারান্দাসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া এসব উদ্বাস্তু মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন ও নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। শীত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই পলিথিন টাঙিয়ে রাস্তার পাশে শুয়ে-বসে আছেন। কেউ বা আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের গেট থেকে টিকিট কাউন্টারের সামনে পর্যন্ত মাটিতে শুয়ে আছে ১৫/২০ জন মানুষ। এদিকে অনেকে বসেও আছে। রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে টিকিট কাউন্টারের সামনে প্রায় পুরো মেঝেতেই শুয়ে-বসে রাতযাপন করছে তারা।  

এদিকে টিকিট কাউন্টারের বাইরে হাঁটা পথেও মাটিতে সারিবদ্ধ হয়ে বস্তা/প্লাস্টিক অথবা কাঁথা বিছিয়ে গাঁয়ে একটি চাদর বা কাঁথা মুড়ে ঘুমাচ্ছেন। এখানে নারী-শিশু, বৃদ্ধদেরও দেখা গেছে। কেউ কেউ খবরের কাগজ বিছিয়ে শোয়ার জায়গা করে নিচ্ছেন।  

শহরের বিভিন্ন সড়কের আইল্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনের ভাসমান এসব ছিন্নমূল মানুষের বসবাস ও রাতযান করতে দেখা যায়। শীত এলেই এসব মানুষদের কষ্ট যেনো একটু বেড়ে যায়। তাদের পরনে কাপড় ছাড়া আর কিছুই থাকেনা। শুধু একটা শীতের কম্বল পাওয়ার আশায় দিনগুনে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ