সমতা ফেরাতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৫৭ রান, হাতে ৬ উইকেট

ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টে বাজে ভাবে হারতে হয়েছে বাবর আজমদের। দ্বিতীয় টেস্টেও ঝুলে রয়েছে পাকিস্তানের ভাগ্য। তবে সমতা ফেরানোর যা লক্ষ্য রয়েছে, তা কিন্তু বাবর আজমদের জন্য খুব কঠিন নয়। জিততে হলে আর ১৫৭ রান চাই। হাতে রয়েছে ৬ উইকেট। সঙ্গে পুরো ২দিন বাকি।
দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৫ উইকেটে ২০২। ক্রিজে ছিলেন হ্যারি ব্রুক এবং বেন স্টোকস। তবে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামলে প্রথম সেশনেই মাত্র ৭৩ রানে বাকি ৫ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডর। স্টোকস করেন ৪১ রান। দলের নীচের সারির ব্যাটাররা রানই পাননি। দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছায়নি কারও রান। ব্রুকের ১০৮ রানের সৌজন্যে তাও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৫ করে ইংল্যান্ড।
পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সব থেকে সফল বোলার সেই আব্রার আহমেদ। ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। টেস্ট অভিষেকে দু’ইনিংস মিলিয়ে মোট ১১ উইকেট তুলে নিয়েছেন আব্রার। এ ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে জাহির মাহমুদ ৩ এবং নওয়াজ ১টি উইকেট নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে টেস্ট জেতার জন্য পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৫ রানের। দুই ওপেনার আবদুল্লা শফিক ও মহম্মদ রিজওয়ান শুরুটা খারাপ করেননি। প্রথম উইকেটে তাঁরা ৬৬ রান যোগ করেন। তবে পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কা দেন জেমস অ্যান্ডারসন। রিজওয়ানকে ৩০ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে সবচেয়ে বেশি নিরাশ করেছেন অধিনায়ক বাবর আজম। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁর দলের হাল ধরার কথা ছিল। কিন্তু তিনি মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান। শফিকও ৪৫ রান করে আউট হয়ে যান। ৮৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
তবে চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন সাউদ শাকিল ও ইমাম উল হক। ১০৮ রানের পার্টনারশিপ করেন তাঁরা। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। দুই ব্যাটারের হাতে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। তবে দিনের শেষ দিকে ইমাম উল হক ৬০ করে আউট হয়ে যান। কিন্তু লড়াই চালাচ্ছেন শাকিল। তিনি ৫৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন ফাহিম আশরফ। তিনি ৩ রানে ব্যাট করছেন। তৃতীয় দিনের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৪ উইকেটে ১৯৮ রান। আর ১৫৭ রান করলেই সিরিজে সমতা ফেরাতে পারবে পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের অলি রবিনসন, জ্যাক লিচ, মার্ক উচ এবং জেমস অ্যান্ডারসন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। ব্রিটিশ বোলাররা কি পারবেন ১৫৭ রানের মধ্যে পাকিস্তানকে গুটিয়ে গিয়ে সিরিজ পকেটে পুড়ে ফেলতে?