চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে হারিয়ে শুভ সূচনা রংপুর রাইডার্সের

খেলা
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে রংপুর রাইডার্সের উদ্‌যাপন  © সংগৃৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করলেন রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করে রনি তালুকদারের ঝড়োয়া ব্যাটিংয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতে ১৪২ রানেই অলআউট হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।  

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বোলারদের তুলোধোনা করে মাত্র ১৯ বলে ফিফটি করেন ওপেনার রনি তালুকদার। এটি চলতি বিপিএলের প্রথম ফিফটি। এছাড়া আরো এক রেকর্ডের মালিক হয়ে গেছেন রনি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড এখন তার দখলে। রনি মারমুখী খেললেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন আরেক অপেনার নাইম শেখ। দু'জন মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৮৪ রান। 

৩১ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন রনি। রনির বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শোয়েব মালিক। এরপর মালিককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন নাইম। তবে দলীয় ১১৫ রানে ৩৪ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান নাইম শেখ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা।  
রাজাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন শোয়েব মালিক। ক্রিজে এসে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকে রাজা। তবে দলীয় ১৩৪ রানে ১০ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। রাজার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে রানের গতি বাড়ান তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে রান আউট হন শোয়েব মালিক। 

দলীয় ১৬৩ রানে ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হন শোয়েব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন বেনি হাওয়েল। ইনিংসের ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন হাওয়েল। ৬ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫ রান সংগ্রহ ১৭৬ করে রংপুর। 

জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে নামে লিটন দাস-সৈকত আলী। ১২ বলে ১০ রান করে লিটন ফিরলে তাদের ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ২১ বলে ১৬ রান করে ফেরেন সৈকত। ঝড়ো আভাস দেখালেও ২ চার ও ১ ছক্কায় ৯ বলে ১৭ রান করেন মালান। এরপর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ইমরুল কায়েস।  

তাদের দুজনের জুটিতে আসে ৫৮ রান। ২৩ বলে ৩৫ রান করে ইমরুল কায়েসকে আজমাতুল্লাহ ওমারজাই ফেরালে জুটি ভেঙে যায়। এরপর আর বেশিদূর আগাতে পারেনি কুমিল্লা। ৯ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। রংপুরের পক্ষে ৩ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।