আফিফ-রাসুলি ঝড়ে চট্টগ্রামের জয়
- স্পোটর্স মোমেন্টস
- প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩২ AM , আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩২ AM
আফিফ হোসেন শো চলছিল চট্টগ্রামের ২২ গজে। তার ব্যাটে দ্বিতীয় জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাগতিক দল। কিন্তু হুট করেই যেন সব আলো কেড়ে নিলেন ডারউইস রাসুলি।
প্রথম ২৫ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ১৯ রান করা আফগান ব্যাটসম্যান পরের ৮ বলে ৩৭ রান তুলে লণ্ডভণ্ড করে দেন ঢাকা ডমিনেটর্সের বোলিং আক্রমণ। তাতে ঢাকার দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্য চট্টগ্রাম ছুঁয়ে ফেলে ১৪ বল আগে ৮ উইকেট হাতে রেখে।
শেষ ৮ বলের ৭টিই রাসুলি পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে। ১ রান নেন দৌড়ে। সব মিলিয়ে তার ব্যাট থেকে ৩৩ বলে আসে ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। আল-আমিন হোসেন ১৭তম ওভারে ২৪ রান দেন। ১৮তম ওভারে চার বলে তাসকিন খরচ করেন ১৫ রান।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণ ব্যাটিং করা আফিফ হোসেন পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৫২ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬৯ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
তাসকিন প্রথম ওভারে আল-আমিনের উইকেট পেলেও ৩.৪ ওভারে দিয়েছেন ২৪ রান। আরাফাত সানী ২১ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।
আরও পড়ুুন: অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সূচনা বাংলাদেশের
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ঢাকার শুরুটা খারাপ ছিল না। ৯.২ ওভারে ৬০ রান তুলে নেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও উসমান ঘানি। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও উইকেট আগলে এগিয়ে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু উইকেট আগলে রাখার সুবিধা পরে কাজে লাগাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।
দশম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন স্পিনার নিহাদুজ্জামান। প্রথমবার সুযোগ পাওয়া মিজানুরকে ফেরান ২৮ রানে। আরেক ওপেনার উসমান ফিফটি থেকে ৩ রান দূরে থাকতে বাঁহাতি স্পিনারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
তিন ও চারে নেমে চরম হতাশ করেন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন। সৌম্য ৪ রানে শুভাগতর বলে ও মিঠুন ৯ রানে পুস্পকুমারার বলে আউট হন।
সেখান থেকে অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৩০ ও আরিফুল হকের অপরাজিত ২৯ রানের সুবাদে ঢাকা ১৫৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায়। ১৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন আরিফুল। ২২ বলে ৪ চারে ৩০ রান করেন নাসির।
চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা ও নিহাদুজ্জামান। ১টি করে উইকেট নেন পুস্পকুমারা ও শুভাগত।
চার ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল চট্টগ্রাম। ঢাকার এটি তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় হার।