দীর্ঘ বছর পর জ্বলে উঠলেন সৌম্য

ক্রিকেট
  © সংগৃহীত

'তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি'। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কবিতার মতো সৌম্য সরকারের বেলায়ও মনে হয় এই কথাটা ম্যাচ করে 'দীর্ঘ বছর কাটলো, সৌম্য ঝড়োয়া ইনিংস খেলেনি'। সর্বশেষ কবে এমন ঝড় উঠেছিল সৌম্য সরকারের ব্যাটে জবাব পেতে রীতিমতো পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের একসময়ের ম্যাচ উইনার সৌম্য সরকার যেনো হারিয়ে গিয়েছিলেন। বছরের পর বছর তিনি নিজেকে ফিরে পাচ্ছিলেন না। চলতি বিপিএলে তার ব্যাটিংয়র অবস্থাও ছিল করুণ। আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত তার একক সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৬। ডাক মেরেছিলেন ২টি। কিন্তু আজ মঙ্গলবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঢাকা ডমিনেটর্সের ম্যাচে বদলে গেলেন তিনি। 

এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়া ঢাকা ডমিনেটর্স ব্যাটারদের পারফর্মেন্স আজও ছিল রুগ্ন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন সৌম্য সরকার। দীর্ঘদিন ফর্মে না থাকা এই ওপেনার আজ দলের অর্ধেকের বেশি রান একাই করলেন। সৌম্য যখন আজ আউট হলেন, তখন তার রান ৫৭ আর দলের রান ৮৪। তবে খুলনা টাইগার্সের নাহিদুল আর নাসুমের বোলিং তোপে ঢাকা গুটিয়ে গেল মাত্র ১০৮ রানে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা ডমিনেটর্স। মিজানুর রহমানকে (১) ফেরান নাহিদুল। একই ওভারের শেষ বলে তিনি তুলে নেন উসমান গনিকে (০)। ক্যাচ নেন তামিম ইকবাল। ফিরতি ওভারে এসে আবারও নাহিদুলের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের (০) ক্যাচ নেন তামিম। এই নাহিদুল-তামিম জুটির পরবর্তী শিকার অ্যালেক (০)। ৮ম ওভারে অ্যালেক্সকে তামিমের তালুবন্দি করে নিচের চতুর্থ শিকার ধরেন নাহিদুল।

সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে একজন ছিলেন অবিচল। তিনি সৌম্য সরকার, যাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল সমালোচনা। বহুদিন পরই আজ সৌম্যর ব্যাটে দেখা গেল সেই পুরনো ঝড়। যেন ২০১৫ সালের সেই সৌম্য খেলছিলেন মিরপুর শেরে বাংলায়। ৩৮ বলে তুলে নেন ফিফটি। ৪৫ বলে ৬ চার ২ ছ্ক্কায় ৫৭ রান করা সৌম্যকে শেষ পর্যন্ত বোল্ড করে থামান নাসুম আহমেদ। পরের ব্যাটাররাও দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ১০৮ রানে থেমে যায় ঢাকা ডমিনেটর্স। সৌম্যর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেছেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল। ১১ রানে নাসুমের শিকার ৩টি।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ