সোহানের ব্যাটে ঝড়, সর্বোচ্চ উইকেট নাসিরের, প্লে-অফে রংপুর
- স্পোটর্স মোমেন্টস
- প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:২০ AM , আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৫ PM

আগের ৪ ইনিংসে মাত্র ৪৭ রান করেছিলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন প্রবল চাপে। সেই চাপ উড়িয়ে দিলেন ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ঝড়ো ফিফটিতে। তাও এমন এক ম্যাচে যেখানে রংপুর নিশ্চিত করেছে প্লে’অফ। ঢাকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে রংপুর উঠেছে শেষ চারে। তাদের শেষ চার নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের শেষ চারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।
মিরপুরের ম্যাচটি ছিল লো স্কোরিং। টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৩০ রানের বেশি করতে দেয়নি রংপুর। সোহানের ৩৩ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে মনে হচ্ছিল রংপুর জয় পাবে অনায়েসে। কিন্তু তার বিদায়ের পর নাসিরের ঘূর্ণিতে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ায়।
২২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রংপুর কঠিন চাপে পড়ে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৫ রান দরকার রংপুরের। মুক্তার আলীর প্রথম বলে এক রান নেন আজমতউল্লাহ। পরের বলে হারিস রউফের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। তৃতীয় বল ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে পাকিস্তানের এ ক্রিকেটার দলের জয় নিশ্চিত করেন।
লক্ষ্য তাড়ায় শরিফুল নিজের প্রথম দুই ওভারে তুলে নেন মোহাম্মদ নাঈম (০) ও মেহেদী হাসানের (৪) উইকেট। সেখান থেকে রনি তালুকদার ও সোহান ৬৫ বলে ৯৩ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে সোহান তুলে নেন ফিফটি। ৩১ বলে পৌঁছে যান মাইলফলকে। রনি তালুকদার শান্ত মেজাজে খেলে দলের স্কোর বাড়ান। কিন্তু মেজাজ হারিয়ে এ দুই ব্যাটসম্যানই উইকেট বিসর্জন দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন।
নাসিরের বল উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন রনি (৩৪)। সোহান শরিফুলের বাউন্সার তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ৬১ রানে। ৩৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। এরপর একে একে বিদায় নেন শোয়েব মালিক (৭), মোহাম্মদ নওয়াজ (১), শামীম হোসেন (৮) ও রাকিবুল হাসান (০)। ক্যারিয়ারের ৫০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে মালিক ১ ছক্কায় ৭ রানের বেশি করতে পারেননি।
শেষ দিকে নাসির ৪ উইকেট নিয়ে রোমাঞ্চ ছড়ালেও শেষ হাসিটা হাসে রংপুর। ২০ রানে ৪ উইকেট নেন অফস্পিনার। সেই সাথে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন নাসির। তাঁর ঝুলিতে এখন ১৬ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। ১১ রানে ৩ উইকেট হারানো ঢাকাকে উদ্ধার করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আলেক্স ব্লেক। দুজনের সামান্যতম প্রতিরোধে কিছুটা লড়াই করে ঢাকা। কিন্তু তাদের দ্রুত বিদায়ের পর আবার ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৩০ রান।