সাকিবের বরিশালের বিদায়ে কোয়ালিফায়ারে রংপুর
- স্পোটর্স মোমেন্টস
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:২১ PM , আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:২১ PM

বিপিএলের এলিমিনেটরে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চমক দেখিয়ে বরিশালকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার ২ এ নাম লেখালো রংপুর। ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করেতে নেমে ৩ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে রংপুর।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই নাঈম শেখের উইকেট হারায় রংপুর। উইকেট নেন সাকিব। এরপরই ব্যাটে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার এবং শামীম পাটোয়ারি। রনি ১৭ বলে ২৯ রান করে আউট হলেও অর্ধশতক করেন শামীম। তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৭১ রান। এছাড়া সানাকার ১২ বলে ১৫ এবং শেষে শেখ মাহেদীর ৯ বলে ১৮ রানের টর্নেডো ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে রংপুর।
এদিন নতুন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে বরিশাল ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৭০ রান। ওপেনিং করতে নামেননি দলটির নিয়মিত ওপেনার আনামুল হক বিজয়। বরং দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া স্পাইসম্যান খ্যাত আন্দ্রে ফ্লেচারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন মিরাজ। অপরপ্রান্তে ফ্লেচার ছিলেন দর্শক হয়ে। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে বরিশালের পক্ষে বেশিরভাগই রানই আসে অবশ্য মিরাজের ব্যাট থেকে। মাত্র ১৯ বলে ৩৪ রানে পাওয়ারপ্লেতে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ফ্লেচার আউট হয়ে ফেরেন ১৬ বলে ১২ রান করে।
পাওয়ারপ্লের পরের দুই ওভারে রানের গতি কিছুটা স্লথ হয় বরিশালের। মাহমুদউল্লাহও মাঠে নেমে শুরুতে ধীরে খেলতে থাকেন। দুইজনে এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে ৬৯ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। এরমধ্যে মিরাজ ৩৫ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন। মাহমুদউল্লাহও ২১ বলের মধ্যে ১টি ছয়ে ও ৪টি চারে খেলেন ৩৪ রানের দারুণ ইনিংস। মাহমুদউল্লাহ ফিরলে ভাঙে জুটিটি। দাসুন শানাকা বল হাতে নিয়েই রংপুরকে রিয়াদের উইকেটটি এনে দেন।
এদিন সাকিব বা রাজাপাকসে নয় চারে নামিয়ে দেওয়া হয় হার্ডহিটার করিম জানাতকে। রিয়াদের বিদায়ের পর বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ফেরেন মিরাজও। আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৯টি চার ও ১টি ছয়ে ৬৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। রিয়াদের মতো মিরাজের উইকেটটিও তুলে নেন শানাকা।
১৬ এবং ১৭তম এই দুই ওভার থেকে এই দুই ব্যাটসম্যান তুলতে পারেন মাত্র ৯ রান। অবশেষে ১৮তম ওভারে এসে শানাকার ওভার থেকে জানাত ১টি করে চার-ছয়ে ১৪ রান তোলেন। তবে পরের ওভারে ডোয়াইন ব্রাভো এসে দেন মাত্র ৬ রান।
শেষ ওভারে হাসান মাহমুদ থেকে ১৫ রান আদায় করে নেওয়াতে বরিশালের স্কোর ১৭০ স্পর্শ করে।